কেমন আছেন পদ্মা সেতুর পুনর্বাসনের ৪টি কেন্দ্রের বাসিন্দারা – পর্ব ১

কেমন আছেন পদ্মা সেতুর পুনর্বাসনের ৪টি কেন্দ্রের বাসিন্দারা - পর্ব ১

 

sony tv

মোঃ মানিক মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জঃ

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আওতায় মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলায় দুটি, মাদারীপুর জেলায় একটি ও শরীয়তপুর জেলায় একটি করে মোট ৪টি পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রাক্কালে জমি অধিগ্রহণ করার পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলশ্রুতি এই ৪টি পুনর্বাসন কেন্দ্র।

কেমন আছেন পদ্মা সেতুর পুনর্বাসনের ৪টি কেন্দ্রের বাসিন্দারা - পর্ব ১

প্রতিটি কেন্দ্রে একটি মসজিদ, একটি বাজার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য একটি পানির ট্যাংক, একটি পুকুর, একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। কিন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের লৌহজং অংশের কুমারভোগ পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রের অধিকাংশ বাসিন্দা এখানকার জীবনযাপন নিয়ে সন্তুষ্ট নন। পুনর্বাসন নির্মাণের শুরুতে ২শ পরিবারের জন্য যে জমি কেনা হয়, সেখানে এখন ৩ শ ৩৫ টি পরিবার বসবাস করছে। যার ফলে এখানে একটি খেলার মাঠ নির্মাণ করা যায়নি। নেই কোনো কমিউনিটি সেন্টারও। পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনা কমিটি কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছে না। ড্রেন থাকলেও তা পরিষ্কার করার জন্য কোনো লোক নেই। ময়লা, ধুলোবালি জমে আটকে থাকা ড্রেন পরিষ্কার না করায় পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনো উপায় থাকে না। নাইট গার্ড না থাকায় এখানে প্রায়ই চুরি হচ্ছে। প্রায় গত দু’বছরে এই পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে অন্তত ৭ টি অটোরিকশা চুরি হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রের বাসিন্দা অটোরিকশাচালক মো. দাদন বেপারী। এখানে ভাড়াটিয়াদের ঠিকানা ও তালিকা স্থানীয় থানায় জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেকেই তা পালন করছে না। প্লট বরাদ্দ পাওয়া পরিবার ও ভাড়াটিয়া মিলে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার লোকের বসবাস এই কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে বাসিন্দাদের সন্তুষ্টি থাকলেও অন্যান্য বিষয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে। খেলার মাঠসহ বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি কেন্দ্রটিতে। উপরোক্ত বিষয় নিয়ে কথা হয় কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শাহ আলম কাওড়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের কমিটি বেশি দিন হয়নি গঠন করা হয়েছে। আমরা সবাই বসলে সমস্যাগুলোর সমাধান করা সহজ হবে। অন্যান্য পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে মসজিদ, বাজার, স্কুল, হাসপাতাল একই জায়গায় থাকলেও এই কেন্দ্রে কেন করা হয়নি – কতৃপক্ষকে করা হলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment