চিতলমারীতে ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু

বাগেরহাটের চিতলমারীতে ভুল চিকিৎসায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম বানিয়া আক্তার (২৩)। এমন অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী ফজলুল হক বাদী হয়ে আজ চিতলমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত গৃহবধুর ফারিয়া নামের এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ৬ মাসের অন্তস্বত্তা গৃহবধূ বানিয়া আক্তার সামান্য অসুস্থতা বোধ করলে চিতলমারী বাজারের মোস্তাইন বিল্লার ওষুধের দোকানে যায়। তখন মোস্তাইন বিল্লাহ একটি ঔষধ খেতে দিলে তা খেয়ে বানিয়া আক্তার গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পার্শ্ববর্তী হাতুড়ি ডাক্তার শশাংক ওঝাকে দিয়ে মোস্তাইন বিল্লাহ বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করে। অপারেশনে বানিয়া আক্তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বানিয়া আক্তারের অবস্থা আরো আশংকাজনক হওয়ায় তারা ১৯ নভেম্বর রাত ১২টায় চিতলমারী বাজারের ডাক্তার ফারুক হোসেনের ক্লিনিকে ভর্তি করে। রুগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় ডা. ফারুক আহম্মেদ বানিয়া আক্তারকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় ওই গৃহবধূর মৃত্যুবরণ করেন। গৃহবধুর স্বামী ফজলুল হক খোকন জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। তার স্ত্রী বানিয়া আক্তারকে মোস্তাইন বিল্লাহ ও হাতুড়ে ডাক্তার শশাংক ওঝা অপারেশনের নামে পরিকল্পিভাবে হত্যা করেছে। শশাংক এর আগেও গর্ভাপাত ঘটাতে গিয়ে দুই-তিনটি কিশোরীকে মেরে ফেলেছে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলেও এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দিতে পায়তারা চালাচ্ছে। এব্যাপারে হাতুড়ে ডা. শশাংক ওঝা মুঠোফোনে জানান, রুগীটি মোস্তাইন বিল্লাহ তার কাছে এনেছিল। তিনি ওষুদ প্রয়োগ করলেও কোন অপারেশন করেননি। চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Brand Bazaar

বাগেরহাটের চিতলমারীতে ভুল চিকিৎসায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম বানিয়া আক্তার (২৩)। এমন অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী ফজলুল হক বাদী হয়ে আজ চিতলমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত গৃহবধুর ফারিয়া নামের এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

বাগেরহাটের চিতলমারীতে ভুল চিকিৎসায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম বানিয়া আক্তার (২৩)। এমন অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী ফজলুল হক বাদী হয়ে আজ চিতলমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত গৃহবধুর ফারিয়া নামের এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা চালাচ্ছে।  অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ৬ মাসের অন্তস্বত্তা গৃহবধূ বানিয়া আক্তার সামান্য অসুস্থতা বোধ করলে চিতলমারী বাজারের মোস্তাইন বিল্লার ওষুধের দোকানে যায়। তখন মোস্তাইন বিল্লাহ একটি ঔষধ খেতে দিলে তা খেয়ে বানিয়া আক্তার গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পার্শ্ববর্তী হাতুড়ি ডাক্তার শশাংক ওঝাকে দিয়ে মোস্তাইন বিল্লাহ বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করে। অপারেশনে বানিয়া আক্তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বানিয়া আক্তারের অবস্থা আরো আশংকাজনক হওয়ায় তারা ১৯ নভেম্বর রাত ১২টায় চিতলমারী বাজারের ডাক্তার ফারুক হোসেনের ক্লিনিকে ভর্তি করে। রুগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় ডা. ফারুক আহম্মেদ বানিয়া আক্তারকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় ওই গৃহবধূর মৃত্যুবরণ করেন।  গৃহবধুর স্বামী ফজলুল হক খোকন জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। তার স্ত্রী বানিয়া আক্তারকে মোস্তাইন বিল্লাহ ও হাতুড়ে ডাক্তার শশাংক ওঝা অপারেশনের নামে পরিকল্পিভাবে হত্যা করেছে। শশাংক এর আগেও গর্ভাপাত ঘটাতে গিয়ে দুই-তিনটি কিশোরীকে মেরে ফেলেছে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলেও এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দিতে পায়তারা চালাচ্ছে।  এব্যাপারে হাতুড়ে ডা. শশাংক ওঝা মুঠোফোনে জানান, রুগীটি মোস্তাইন বিল্লাহ তার কাছে এনেছিল। তিনি ওষুদ প্রয়োগ করলেও কোন অপারেশন করেননি।  চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ৬ মাসের অন্তস্বত্তা গৃহবধূ বানিয়া আক্তার সামান্য অসুস্থতা বোধ করলে চিতলমারী বাজারের মোস্তাইন বিল্লার ওষুধের দোকানে যায়। তখন মোস্তাইন বিল্লাহ একটি ঔষধ খেতে দিলে তা খেয়ে বানিয়া আক্তার গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পার্শ্ববর্তী হাতুড়ি ডাক্তার শশাংক ওঝাকে দিয়ে মোস্তাইন বিল্লাহ বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করে। অপারেশনে বানিয়া আক্তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বানিয়া আক্তারের অবস্থা আরো আশংকাজনক হওয়ায় তারা ১৯ নভেম্বর রাত ১২টায় চিতলমারী বাজারের ডাক্তার ফারুক হোসেনের ক্লিনিকে ভর্তি করে। রুগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় ডা. ফারুক আহম্মেদ বানিয়া আক্তারকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় ওই গৃহবধূর মৃত্যুবরণ করেন।

গৃহবধুর স্বামী ফজলুল হক খোকন জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। তার স্ত্রী বানিয়া আক্তারকে মোস্তাইন বিল্লাহ ও হাতুড়ে ডাক্তার শশাংক ওঝা অপারেশনের নামে পরিকল্পিভাবে হত্যা করেছে। শশাংক এর আগেও গর্ভাপাত ঘটাতে গিয়ে দুই-তিনটি কিশোরীকে মেরে ফেলেছে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলেও এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দিতে পায়তারা চালাচ্ছে।

এব্যাপারে হাতুড়ে ডা. শশাংক ওঝা মুঠোফোনে জানান, রুগীটি মোস্তাইন বিল্লাহ তার কাছে এনেছিল। তিনি ওষুদ প্রয়োগ করলেও কোন অপারেশন করেননি।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment