চার নারী ধর্ষণের মামলা নিতে দেরি করায় আলামত নষ্ট হওয়ার অভিযোগ

চার নারী ধর্ষণের মামলা নিতে দেরি করায় আলামত নষ্ট হওয়ার অভিযোগ

Brand Bazaar

মামলা নিতে গড়িমসির কারণেই চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় একই পরিবারের চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনার আলামত যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনি আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে এখন পর্যন্ত বর্বর এ ঘটনার মূল আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহভাজন দু’জনকে আটক করা হলেও আগামী ২৮ ডিসেম্বর কারাগারে টিআই প্যারেডের মাধ্যমে শনাক্তের পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার পর মামলা নিতে দেরি করায় এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা। নির্যাতিতদের পরিবার অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে তাদের পাঠানো হয় পটিয়া থানায়। সেখান থেকেও তাদের ফেরত পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাপের মুখে ঘটনার চারদিন পর মামলা নিতে বাধ্য হয় কর্ণফুলি থানা।

আনোয়ারার ২ নম্বর বড় উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম বলেন, ‘নির্যাতিত মহিলারা শনাক্ত করে দেয়ার পরও আসামীকে রিমান্ডে না নিয়ে প্রকৃত আসামীকে ধরার জন্য পুলিশ আবেদন করেছে।’

চট্টগ্রামের নারীমুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুলিশের যে ভূমিকা, এই ভূমিকা আসলে আগ থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। নারীদের আইনের যে আশ্রয় পাওয়ার কথা, সেটা তো তারা দিলই না, উল্টো তারা পাঁচদিন দেরী করেছে।’

তবে পুলিশের দাবি ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল নিয়েও ছিলো দ্বিধাদ্বন্দ্ব। একারণেই নাকি মামলা দায়েরে দেরী হয়েছে।

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আবেদ বলেন, ‘যখন আমার কাছে আসলো, আমি তাৎক্ষণিক ওসিকে বললাম, ইমিডিয়েটলি মামলা নেয়া হোক। এবং আমি পুলিশ কমিশনার সাহেবকেও বলে দিয়েছি।’

সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ উল হাসান বলেন, ‘জায়গা এবং তাদের ঘটনার সঙ্গে যে পারিপার্শ্বিক আরও কিছু ঘটনা ছিলো, এগুলো নিয়ে একটা কনফিউশনের কারণেই আমার মনে হয় দেরী হয়েছে। দেরী হলেও ঘটনাটির তদন্ত কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই করছি।’

দেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া ধরণের ঘটনার বিচার না হওয়ায় বারবার এধরণের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন নারীনেত্রীরা।

নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কিন্তু একজনেরও হয় নাই। শাস্তি যদি হতো, তাহলে কিন্তু এই সাহসটা কখনও হতো না। আমার মনে হয় এই ঘটনা পুরো বিশ্বকে মর্মাহত করেছে এবং উদ্বিগ্ন করেছে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment