‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করলেই আন্দোলন’

কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ বেশি, দ্বিতীয় বিএনপি

রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী বিজয়ী হলেও সাধারণ কাউন্সিলর পদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ৩৩টি পদের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে জাতীয় পার্টি। আর ১৪টিতে আওয়ামী লীগ, সাতটিতে বিএনপি, ৯টিতে স্বতন্ত্র এবং একটিতে জয়ী হয়েছে জাসদ প্রার্থী।
কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ বেশি, দ্বিতীয় বিএনপিআওয়ামী লীগের নির্বাচিত কাউন্সিলররা হলেন— ২ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ, ৪ নম্বরে হারাধন চন্দ্র রায়, ৬ নম্বরে মনোয়ারুল ইসলাম লেবু, ৮ নম্বরে মামুনুর রশীদ মানিক মাস্টার, ১৩ নম্বরে ফজলে এলাহী ফুলু, ১৫ নম্বরে জাকারিয়া আলম শিপলু, ১৬ নম্বরে আমিনুল ইসলাম, ২০ নম্বরে তৌহিদুল ইসলাম, ২৩ নম্বরে সেকেন্দার আলী, ২৫ নম্বরে নুরুন্নবী ফুলু, ২৬ নম্বরে সাইফুল ইসলাম ফুলু, ২৮ নম্বরে রহমত উল্লাহ বাবলা, ২৯ নম্বরে মুক্তার হোসেন ও ৩২ নম্বরে শামীম আহমেদ। আর বিএনপির কাউন্সিলরা হলেন— ৭ নম্বরে মাহফুজার রহমান মাফু, ৯ নম্বরে নজরুল ইসলাম দেওয়ানী, ১০ নম্বরে লাইকুর রহমান নাজু, ১২ নম্বরে রবিউল আবেদীন রতন, ১৪ নম্বরে শফিকুল ইসলাম মিঠু, ১৮ নম্বরে মুনতাসির শামীম লাইকো, ৩০ নম্বরে মালেক নিয়াজ আরজু। জাতীয় পার্টির দুই কাউন্সিলর হলেন— ২১ নম্বরে মাহবুবার রহমান মঞ্জু ও ৩১ নম্বরে সামছুল হক। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন জাসদের মোখলেছুর রহমান তরু। স্বতন্ত্র কাউন্সিলররা হলেন— ১ নম্বরে রফিকুল ইসলাম, ৩ নম্বরে মোস্তাফিজার রহমান, ১১ নম্বরে জয়নুল আবেদীন লুতু, ১৭ নম্বরে আবদুল গাফফার, ১৯ নম্বরে মাহমুদুর রহমান টিটু, ২২ নম্বরে মিজানুর রহমান মিজু, ২৪ নম্বরে মীর জামাল উদ্দিন, ২৭ নম্বরে হারুন অর রশীদ ও ৩৩ নম্বরে সিরাজুল ইসলাম।  এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচিতরা হলেন— ১ নম্বর ওয়ার্ডে নাসিমা আখতার, ২ নম্বরে বিলকিস বেগম, ৩ নম্বরে বেগম, ৪ নম্বরে জামিলা বেগম, ৫ নম্বরে শাহেদা বেগম, ৬ নম্বরে জাহেদা আনোয়ারী, ৭ নম্বরে ফেরদৌসী বেগম, ৮ নম্বরে হাসনা বানু, ৯ নম্বরে মনোয়ারা সুলতানা মলি, ১০ নম্বরে ফরিদা কালাম এবং ১১ নম্বরে নাজমুন নাহার নাজমা।

পরাজিত প্রার্থী-সমর্থক সংঘর্ষে আহত ২০ : গতকাল সকালে নগরীর সেন্ট্রাল রোডে পরাজিত এক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২০ জন আহত হন। পুলিশ ওই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল মঞ্জুর কুঠিয়াল ১ ভোটে পরাজিত হন। নির্বাচন আচরণবিধি অমান্য করে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মঞ্জুর কুঠিয়াল তার কর্মী-সমর্থকসহ মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের দিকে আসছিলেন। সেন্ট্রাল রোডে খাদ্য ভবনের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে ২০ জন আহত হন। এ সময় মঞ্জুর কুঠিয়ালসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনের পরদিনও মিছিল-মিটিং করা যাবে না। তারা তা অমান্য করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। মঞ্জুর কুঠিয়ালসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশ অনুয়ারী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment