ইউক্রেন-বিদ্রোহীদের মধ্যে ৪০০ বন্দিবিনিময়

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ২০১৪ সালে সশস্ত্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহী পক্ষ ও দেশটির সরকারের মধ্যে বড় পরিসরে এই প্রথম বন্দিবিনিময় করা হলো।

দোনেৎস্কের উত্তর-পূর্বের হরলিভকা শহরের পাশে বুধবার সাংবাদিক-অ্যাক্টিভিস্টসহ দুই পক্ষ প্রায় ৪০০ বন্দি বিনিময় করে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৭৪ জন ইউক্রেনীয় সেনাকে সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার বিনিময়ে রাশিয়াপন্থি ৩০৬ জন বিদ্রোহীকে মুক্তি দেওয়ার কথা।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার ২৩৫ জনকে বিদ্রোহী কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে সরকার। বাকিদের মধ্যে কেউ কেউ ইউক্রেনে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে অথবা আগেই কেউ কেউ ছাড়া পেয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরেশেঙ্কো এক টুইটে বলেছেন, ‘এরই মধ্যে ৭৪ ইউক্রেনীয় সেনাদের সবাই আমাদের সেনাবাহিনীনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তাদের ঘরে ফিরেছে।’

এবার সংখ্যার বিচারে বড় হলেও ২০১৬ সালে তাদের মধ্যে বন্দিবিনিময় হয়। হরলিভকায় বুধবার দুই পক্ষের কয়েক ডজন পরিবার তাদের স্বজনদের নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন। রাশিয়াপন্থি বাহিনীর হাতে প্রায় তিন বছর ধরে বন্দি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর গাড়িচালক মাইকোলা গেরাসিমেঙ্কোর অপেক্ষমাণ স্ত্রী নাটালিয়া গেরাসিমেঙ্কো বলেন, ‘আমার স্বামীকে প্রথম যে বিষয়টি বলল, তা হলো- তোমার কারাগারের সময় বৃথা যায়নি এবং অবশ্যই আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

কয়েক দফা ভেস্তে যাওয়ার পরও সম্প্রতি জোর পদক্ষেপে সমঝোতা আলোচনার পর বড় পরিসরে বন্দি বিনিময় সম্ভব হলো। এই সপ্তাহের প্রথম দিকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রাশিয়ান অর্থডক্স চার্চের প্রধান যাজকের উপস্থিতিতে ইউক্রেনীয় ও বিদ্রোহী প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে পথ উন্মোচিত হয়। কিয়েভ ও মস্কো উভয় পক্ষের সদিচ্ছায় এই ‍সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, বন্দিবিনিময় দ্রুত সম্পন্ন করতে বিদ্রোহীদের ওপর তার প্রভাব কাজে লাগাবেন।

এ ছাড়া বন্দিবিনিময় সম্পন্ন করার নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যস্থায় ২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment