আ.লীগ একটি আসনও পাবে না: খসরু

আ.লীগ একটি আসনও পাবে না: খসরু

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে বিএনপি নেতার আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিশ্বাস জন্মেছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের দল জিতবে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে একটি আসনও জিততে  পারবে না শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক ‘গণবৈঠকে’ এই মত তুলে ধরেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য এই কথা বলেন। ‘রাজনীতি-স্বার্থ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রতিবেশীর ভূমিকা’ বিষয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ নামে একটি সংগঠন।
আ.লীগ একটি আসনও পাবে না: খসরুরংপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে আমীর খসরু বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের ভোট ৬০ শতাংশ কমেছে, আর বিএনপির বেড়েছে ৪০ শতাংশ। সারাদেশেই একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের একটি আসনও জেতার কারণ দেখতে পাচ্ছি না।’

আমীর খসরু বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি শুধু জয়ী হবে না, বিশালভাবে জয়ী হবে।’

গত ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনের ভোটে কারচুপি এবং ভোটকেন্দ্র দখল করে সিল মারার অভিযোগ করা হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে পরে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলেন। এরপর থেকে রংপুরে ভোট নিয়ে নতুন করে মূল্যায়ন করছে দলটি।

ভোটের বছর ২০১৮ সালে সরকারকে অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বছর। আর আপনারা (সরকার) যদি মানুষের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যান তাহলে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে এবং অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে কথিত দুর্নীতি সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোন সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে খসরু বলেন, ‘এটা জেনে শুনেও সরকার সেই পথেই যাচ্ছে। কারণ তাদের আর কোন পথ নেই।’

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘চক্রান্ত’ না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয় বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই, সেই পিচ্ছিল পথে আর যাবেন না। সেই পথে চলতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বেশি মূল্য দিতে হবে।’

খালেদা জিয়ার মামলাকে আওয়ামী লীগের ‘নির্বাচনী প্রজেক্টের অংশ’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই প্রজেক্টের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের একটি প্রক্রিয়া।’

‘এই প্রজেক্টের আওতায় তারা অনেকগুলো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে আছে গুম, ক্রসফায়ার, মিথ্যা মামলা, জেল, মানুষকে পঙ্গু করা, এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী সৃষ্টি, সম্পদ ও ব্যবসা দখল করা এবং সব চেয়ে বড় প্রজেক্ট হচ্ছে বেগম জিয়াকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখা।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দিলারা চৌধুরী, পিরোজপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment