এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের তিন সদস্য আটক এবং তাঁতীবাজার এলাকায় তাদের গোডাউন থেকে ওষুধগুলো জব্দ করা হয়। আটকরা হলেন- রুহুল আমিন ওরফে দুলাল চৌধুরী, নিখিল রাজবংশী ও মো. সাঈদ।
নজরুল ইসলাম বলেন, ক্যান্সার প্রতিষেধকসহ জীবনরক্ষাকারী দামি ভেজাল ওষুধ চীনে তৈরি করে দেশের বাজারে ছড়িয়ে দেয়া চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ হাজার পাতা ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আটকরা প্রায় সময়ই চীনে যাতায়াত করেন। সেখানে গিয়ে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভেজাল ওষুধ তৈরির অর্ডার দেন। ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডসহ নিম্নমানের উপাদান দিয়ে দামি জীবন রক্ষাকারী এসব ওষুধ তৈরি করা হয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি চীন থেকে ভেজাল ওষুধগুলো এনে একটি গোডাউনে রাখতো। তারপর ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে দেয়া হতো। তবে তারা মূলত জুয়াড়ি। বিভিন্ন ক্যাসিনোতে জুয়া খেলতে গিয়ে তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর পরস্পরের যোগসাজশে চীনে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আমদানির পরিকল্পনা করে তারা।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা এমটিএক্স, ক্লোমাইড ও রিভোকন নামে এই তিন ধরনের ভেজাল ওষুধ পেয়েছি তাদের কাছে। এসব ওষুধ প্রতি পাতা তৈরি এবং আমদানিতে তাদের ব্যয় হতো ১২ টাকা। যেগুলো দেশে প্রতি পাতার বাজার মূল্য দুই থেকে তিনশ টাকা। আর তারা তাদের এজেন্টদের কাছে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করতো।