এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইসির যুগ্ম-সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি বৃহস্পতিবার ঢাকার দুই সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে অনুরোধ করায় এ নির্বাচনের তফসিল জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের যেকোনো দিন ঘোষণা করা হবে এবং ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের যেকোনো দিন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তফসিল ঘোষণার আগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে সেগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। প্রার্থীদের এমন কোনো প্রচার সামগ্রী থাকলে তা ৬ জানুয়ারি রাত ১২টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ উদ্যোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তা কমিশনকে অবহিত করতেও বলা হয়। এ ছাড়া এগুলো না সরালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ফরহাদ আহাম্মদ খান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, এটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। তাই নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ তৈরি করার জন্য দুই সিটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে।
উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে এ সিটিতে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, উত্তর সিটিতে সংযুক্ত নতুন ১৮ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ৬ ওয়ার্ডে সংরক্ষিত এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাথে সংযুক্ত ১৮টি কাউন্সিলর ও ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের জন্য তিনটি আলাদা আলাদা তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে এর আগে সাংবাদিকদের জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তফসিল তিনটি একদিনেই ঘোষণা করা হবে এবং একই দিনে ভোট হবে। নতুন ওয়ার্ডের মেয়াদ বর্তমান পরিষদের মেয়াদের সমান হবে বলেও জানান সচিব।