কেরানীগঞ্জে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে আহত ১৫

কেরানীগঞ্জে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে আহত ১৫

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন রুবেলকে পুলিশ আটক করার জের ধরে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক শফিউল আযম, ২ জন কনস্টেবল, কলাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহের আলী, কলাতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

কেরানীগঞ্জে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মডেল থানা ছাত্রলীগ নেতা মো. রুবেলকে আটিবাজার এলাকা থেকে আটক করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক শফিউল আযম। এ সময় রুবেলের সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের সঙ্গে শফিউল আযমের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতা রুবেলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। দারোগা শফিউল আযমের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় নেতাকর্মীরা। দ্রুত গতিতে রুবেলকে নিয়ে অটোরিকশাযোগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় আসার সময় পেছন থেকে তাদেরকে প্রাইভেটকার যোগে ধাওয়া করেন কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলী। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সামনে জড়ো হয়। রাত ১০টার দিকে রুবেলকে নিয়ে থানায় প্রবেশ করেন শফিউল আযম। এর সঙ্গে সঙ্গে ২৫-৩০ জন যুবককে নিয়ে থানায় প্রবেশ করেন কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলী ও শাক্তা ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন লিটন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মডেল থানার গেট ধাক্কা দিলে ভেঙে পড়ে যায়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলীর সঙ্গে দারোগা শফিউল আযমের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দারোগা শফিউল আযম, ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলী, মো. রুবেলসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে জিনজিরা ইউপি চেয়ারম্যান সাকুর হোসেনসহ একে একে দলীয় নেতারা থানায় আসতে শুরু করেন। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। রাত ১২টা ৫ মিনিটে এক প্লাটুন পুলিশ নিয়ে থানায় আসেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান। পরে তিনি ১২টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে রাত ৪টার পরে ছাত্রলীগের ওই নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শফিউল আযম বলেন, সন্দেহজনকভাবে তাদের মোটরসাইকেলগুলো থামানো হয়েছিল। মোটরসাইকেল থামানোর পরই তার ওপর হামলা করা হয়। তাকে থানায় নিয়ে আসার পর কলাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাহের আলী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment