কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা: অভিযুক্তকে ছেড়ে দিলেন আ’লীগ নেতা

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা: অভিযুক্তকে ছেড়ে দিলেন আ'লীগ নেতা

 

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত তরুণকে মুক্ত করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই মেয়েটির পরিবার এবং স্থানীয়রা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা: অভিযুক্তকে ছেড়ে দিলেন আ'লীগ নেতা

ওই ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গুরা উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কলকতি গ্রামের হামিদ প্রামানিকের ছেলে সিয়াম ওই ছাত্রীর সহপাঠি। সিয়াম এক বন্ধুসহ শনিবার রাত ১০ টার দিকে ওই ছাত্রীর বাসায় দেখা করতে আসে। এসময় তারা বাসার একটি কক্ষে বসে কথা বলছিল এবং পরিবারের অন্যরা নিজেদের কাজে অন্যত্র ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিরা দৌড়ে এলে সিয়ামকে ধর্ষণের চেষ্টারত অবস্থায় দেখে ফেলে। এসময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সিয়ামকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ আহত অবস্থায় সিয়ামকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের চাপে উভয় পক্ষকে নিয়ে রোববার রাতে সালিশ বসে। এ সময় সিয়ামের সাথে ওই ছাত্রীর বিয়ের দাবি জানায় ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু তাদের দাবিতে কর্ণপাত না করে ভাঙ্গুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে পৌর কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেন বিষু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুকসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা সিয়ামকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে মুক্ত করে দেন।

আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল বলেন, ‘আমি এবং কাউন্সিলর এবং অন্যান্যরা মিলে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। এ টাকা মেয়ের নামে ব্যাংকে রেখে পরে বিবাহের কাজে লাগানো হবে।’

সোমবার ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, ধর্ষণের চেষ্টার সময় এলাকাবাসী এক কলেজ ছাত্রকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ না দেয়ায় তাকে রাতে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা যো হবে।

মেয়েটির মা সাংবাদিকদের বলেন, তারা কোন টাকা পাননি। এ ধরণের মিমাংসায় তারা বিব্রত।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment