ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের জেনেটিক প্রবলেম হচ্ছে তারা যখনই ক্ষমতায় আসবে জোর করে ক্ষমতায় বহাল থাকতে চাইবে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাদের দলীয় একটি সভায় জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট দিয়েছে বলেই আমরা ক্ষমতার ৪ বছর অতিক্রম করতে পেরেছি। প্রশ্ন হচ্ছে তিনি কোন জনগণের কথা বলেছেন, কোন নির্বাচনের কথা বলেছেন? যে নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি, যে নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সেই নির্বাচন?
বিএনপি এ নেতা বলেন, আমাদের কথা স্পষ্ট, বারবার জনগণকে ধোকা দেয়া যাবে না। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবে না। আগামী নির্বাচন হতে হবে সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, জনগণই যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে থাকে তাহলে সংসদ ভেঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন। উদ্দেশ্য একটাই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ কোনো কিছুতেই ছাড় দিচ্ছেন না। তারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে বাংলাদেশকে গভীর অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের প্রেক্ষাপট ছিল মাইনাস বেগম খালেদা জিয়া। তারা বিএনপিকে দুর্বল করতে চেয়েছে। আজ আওয়ামী লীগ সরকার ১/১১ ধারাবাহিকতায় বিএনপিকে দুর্বল করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দমন করে রাখতে ভিত্তিহীন মামলায় নাজেহাল করছে। মূলত এতে করে শেখ হাসিনা অলিখিত বাকশালের মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা সভা সমাবেশ করার অনুমতি পাই না। আমাদেরকে বলা হয় সভা সমাবেশে যানজট সৃষ্টি হবে। অথচ তারা বেশ কয়েক জায়গায় সভা সমাবেশ করে যানজট সৃষ্টি করছে। যা চলতে পারে না। বেশিদিন চলতে দেয়া যায় না।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক কৃষিবিদ আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলার সভাপতিত্বে বক্তব্যে দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের সভাপতি কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।