কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে’ যে কারণে কোটি টাকা দান করে মানুষ

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে’ যে কারণে কোটি টাকা দান করে মানুষ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়। টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদের উপস্থিতিতে সদর উপজেলার গাইটাল এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদের ওই দানবাক্স খোলা হয়। গত ২৬ আগস্ট থেকে সাড়ে চার মাসেরও কম সময়ে এই অর্থ পাওয়া যায়।

আবু তাহের বলেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানকার কয়েকটি দানবাক্স খোলেন। টাকাগুলো রূপালি ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় জমা দেয়া হয়েছে। আর স্বর্ণালঙ্কার একটি সিন্দুকে রেখে দেয়া হয়েছে। স্বর্ণালঙ্কারের পরিমাণ ও দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই মসজিদের দানবাক্স খুলে প্রতিবারই কোটি টাকার ওপরে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ প্রতিদিন এই মসজিদে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দান করেন। গত বছরের ২৬ আগস্ট এই মসজিদের দানবাক্স খুলে গণনা করে ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই অঙ্কও ছাড়িয়ে গেছে। চার মাস পরপর দান বাক্স খোলা হয়ে থাকে। আর প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা।

আরো জানা যায়, এ মসজিদে ইবাদত-বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে অনেকের দীর্ঘদিনের বিশ্বাস। এছাড়া রোগ-শোক বা বিপদে নিয়ত করে মসজিদে দান করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এমন বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান-খয়রাত করে হাজার হাজার মানুষ।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো.আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এই মসজিদটিকে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্সের বিশাল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ ও এতিমখানা ছাড়াও মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ এবং সেবামূলক খাতে সাহায্য করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত দরিদ্র মানুষকে চিকিৎসার জন্য মসজিদের তহবিল থেকে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment