অবশেষে চাকরি পেলেন গণধর্ষণের শিকার সেই পূর্ণিমা

অবশেষে চাকরি পেলেন গণধর্ষণের শিকার সেই পূর্ণিমা

অবশেষে চাকরি পেয়েছেন সেই পূর্ণিমা। ২০০১ সালে বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে ১৩ বছর বয়সে গণধর্ষণের শিকার পূর্ণিমা শীলের খবর বাংলাদেশে শিরোনাম হয়েছিল। তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তাকে ভুলে যাননি, বরঞ্চ তাঁকে মনে রেখে নিজের পারসোনাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তারানা হালিম সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে বলেন, ‘মনে পড়ে সেই পূর্ণিমাকে? ২০০১ এর ১ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামাতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ১৪ বছরের মেয়েটি। হ্যাঁ, আমি সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা শীলের কথা বলছি। আজ আমি গর্বিত আমি পূর্ণিমাকে আমার ‘পার্সোনাল অফিসার’ হিসাবে নিয়োগ দিলাম। পূর্ণিমা, তোমাকে আমরা ভুলে যাইনি। জীবনের অন্ধকার রূপ তুমি দেখেছো, আলোর জগতে তোমায় স্বাগতম… শুরু হোক নতুন পথচলা। তোমাকে অভিবাদন প্রিয় পূর্ণিমা।’

অবশেষে চাকরি পেলেন গণধর্ষণের শিকার সেই পূর্ণিমা

১৫ বছর বয়সের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা গণধর্ষণের শিকার হয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়া থানার দেলুয়া গ্রামের অনিল কুমার শীলের পরিবারের ওপর ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ রাতে চালানো হয় বর্বরতম অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন। রাতে জোরপূর্বক বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার-নির্যাতনের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা অনিল শীলের ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনার ৩ থেকে ৪ দিন পর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ধর্ষিত ছাত্রী ও তার পরিবারকে সাংবাদিদের সামনে হাজির করলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

এ ঘটনায় পূর্ণিমার বাবা অনিল চন্দ্র শীল ১৭ জনকে আসামি করে উল্লাপাড়া থানায় মামলা করেন। বাবার মৃত্যুর পর মামলার বাদী হন পূর্ণিমা নিজেই। এ ঘটনায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment