আমাকে হত্যার জন্যই এ হামলা : সাংবাদিকদের আইভী

আমাকে হত্যার জন্যই এ হামলা : সাংবাদিকদের আইভী

নারায়াণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, হত্যার জন্যই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। এঘটনায় তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে হত্যার জন্যই এ হামলা। এই হামলায় আমার বোন জামাই, ভাই, কর্মীরা শিকার হয়েছেন। আমি মার খেতে প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু কর্মীরা মার খাবে আমি কখনোই চাইনি।’

আমাকে হত্যার জন্যই এ হামলা : সাংবাদিকদের আইভী

মেয়র আইভী বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল আমি ওখানে বসা থাকলে এ হামলা হবে না; কিন্তু তা হয়েছে। আমার কর্মীদের টার্গেট করে মারা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে হাজার হাজার মানুষ আসে। আমিতো কাউকে ডেকে আনিনি, আমি তো অস্ত্র নিয়ে মিছিলে যাইনি। আমার ফুটপাত দিয়ে আমি হেঁটে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে জানাতে চেয়েছিলাম।’ নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র বলেন, ‘আগের দিন ঘোষণা দিয়ে, আদেশ করে, উস্কে দিয়ে হামলা করিয়েছেন শামীম ওসমান। সেলিম ওসমান আমাকে চিঠি দিয়েছেন, আমি সেলিম ওসমানের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি। যেখানে প্রশাসন বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, সেখানে কেন এমন হামলা?’ তিনি বলেন, নারায়াণগঞ্জের দু’টি পরিবারকে আলাদাভাবে দেখার কারণ নেই। দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেই। এটা দেশের সকল জেলায় সকল দলেরই আছে। আমাকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি (শামীম ওসমান) বলতে পারতেন- হকার্স মার্কেটটি ১০ তলা করা হোক, আমি সাহায্য করব। তিনি আমাকে তা বলেননি।’ আইভী বলেন, ‘রাস্তা আমার আর আমি হাঁটতে পারব না তা তো হতে পারে না। আমরা প্রায়ই উচ্ছেদ করি। আর ২৫ তারিখ থেকে পুলিশ প্রশাসন উচ্ছেদ করছে। এটা ভালো করেছে, মানুষের জন্য কাজ করেছে।’ এসময় তিনি বলেন, ‘একমাস আগেও আমার গাড়ির ৬টি নাট একসঙ্গে খুলে যায়। আমাকে হত্যার চেষ্টা নতুন না। কিন্তু মৃত্যুর ভয় আমি পাই না।’ প্রসঙ্গত, ২৭ দিন ধরে শহরের হকার উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে সোমবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় হকারদের আয়োজিত সভায় এমপি শামীম ওসমান এসে সহমত জানান। তিনি হকার বসাতে মঙ্গলবার ৪টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।

ওই আল্টিমেটামের নির্ধারিত সময়ে হকাররা চাষাঢ়ায় বিকেল ৪টায় অবস্থান নেন। খবর পেয়ে মেয়র আইভী তার লোকজন নিয়ে চাষাঢ়ার অদূরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের বিপরীতে সায়ম প্লাজার সামনে এসে অবস্থান নেন।

এসময় শামীম ওসমান সমর্থকরা হকারদের নিয়ে মেয়র আইভী ও তার লোকজনদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় মেয়র আইভী ও তার লোকজনদের উপর হামলা করে মারধর করা হয়।

পরে আইভীর লোকজনও শামীম ওসমানের লোকজনদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ একাধিক ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে মেয়র আইভীসহ শতাধিক আহত হন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment