আগামী ছয় মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এই আদেশ দেন। এই সংক্রান্ত এক রিটের নিষ্পত্তি করা রায়ে এই আদেশ দেন আদালত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নির্দেশ পালনের আদেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এসব তথ্য জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন চেয়ে করা এই রিটের শুনানি গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়। শুনানি শেষে মামলার রায়ের জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ২৫ শিক্ষার্থীর করা এ সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল একটি রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। রুলের শুনানি নিয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন উচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে তিন দফায় তফসিল ঘোষণা করলেও নির্বাচন হয়নি।
১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন তাজ খুনের পর একটি তদন্ত কমিটি ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার সুপারিশ করলেও সেই ছয় মাস আসেনি ২০ বছরেও।
২০০৫ সালের মে মাসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ ওই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ওই ঘোষণার পর ছাত্র সংগঠনগুলো নড়েচড়ে বসে। ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে একাধিকবার মিছিল সমাবেশ এবং ভিসির কাছে স্মারকলিপিও দেয়। তবে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো এগিয়ে আসেনি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক দায়িত্ব নেয়ার পরই নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও ঘোষণা অনুযায়ী কাজ করতে ব্যর্থ হন।