ঝিনাইদহ হাসপাতালে গত বছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৩২ রোগীর চিকিৎসা সম্পন্ন, আয় ৭০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা

ঝিনাইদহ হাসপাতালে গত বছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৩২ রোগীর চিকিৎসা সম্পন্ন, আয় ৭০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা

সুমন মালাকার, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
বিভিন্ন রোগে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে গত বছর ২০১৭ সালে ৪৯৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৯ জন পুরুষ ও ২২৪ জন মহিলা রোগী রয়েছে। এক বছরে হাসপাতালটিতে জরুরী ও বর্হিবিভাগে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৩২ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ুব হোসেন বলেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালটি একশ শয্যার হলেও প্রতিদিন জরুরী ও বর্হিবিভাগে হাজারো রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে মুঞ্জুরীকৃত ৪০ জন ডাক্তারের মধ্যে আছে মাত্র ২৭ জন। দীর্ঘদিন ধরেই ১৩ জন ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। এছাড়া ৭৩ জন নার্সের বিপরীতে আছে ৬৫ জন। তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে হাসপাতালটিতে ৩৫ হাজার ৫শ ৬৯ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালটিতে নানা সমস্যার মাঝেও গত বছর দৈনিক ৮৮ হাজার ৪১৪ জন রোগী অবস্থান করে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঝিনাইদহ হাসপাতালে গত বছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৯৩২ রোগীর চিকিৎসা সম্পন্ন, আয় ৭০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকাহাসপাতালের ইওসি (গাইনি) বিভাগের প্রধান ডাঃ এমদাদ জানান, ২০১৭ সালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতলে ২ হাজার ৯৯৭ জন প্রসুতি নারীকে ডেলিভারি করানো হয়েছে। এরমধ্যে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা ১ হাজার ৮’শ ৩৯। প্রয়োজন ছাড়া ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে সিজার করা হয় না বলেও ডাঃ এমদাদ জানান। হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ুব হোসেন আরো জানান, গত এক বছরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৭ হাজার ৪৩২ জন রোগীকে অপারেশন করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়েছে ৫২ হাজার ৫৫৬ জন রোগীকে। হাসপাতালের হিসাব বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে রোগী ভর্তি ফি, বহিঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগে চিকিৎসা (টিকেট), কেবিন, পেয়িং বেড, ইসজি, এক্স-রে, প্যাথলজী, আলট্রাসনো ও ব্লাড ব্যাংক ফি, এ্যাম্বুলেন্স, অপারেশন, এমএসআর, লাইসেন্স নবায়ন ও টেন্ডার সিডিউল বিক্রয় খাত থেকে আয় হয়েছে ৭০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী হরিণাকুন্ডুর হালিমা খাতুন অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ডাক্তদারদের দুপুরের পর আর পাওয়া যায় না। জোহরের আজান পড়লেই সব চিকিৎসক হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ফলে বর্হিবিভাগ থেকে রোগীর টিকেট দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর থেকে আসা রোগীরা পড়েন বিপাকে। এ ছাড়া জরুরী কল ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রাতে রাউন্ড দেন না। তবে রোগীদের অভিযোগ সম্পর্কে তত্বাবধায়ক ডাঃ আইয়ুব হোসেন বলেন, মুলত চিকিৎসক সংকটের কারণে এমনটি হতে পারে। হাসপাতালে ১৩ জন চিকিৎসকের পদ খালি আছে। পুরণ হলে আর অভিযোগ থাকবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment