জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে আজ বুধবার তিনি আদালতে পৌঁছানোর আগেই যুক্তিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বুধবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। আর বেলা ১১টা ১২ মিনিটে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আসামি শরফুদ্দিন আহমেদের যুক্তিতর্কের মধ্যে নিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, ‘গতকাল মঙ্গলবার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির এক পর্যায়ে মামলার বুধবারের কার্যক্রমে মুলতবি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মামলার কার্যক্রম চলবে বলে জানান। কিন্তু আমরা ওই দিনে মামলার কার্যক্রম মুলতবি চেয়েছিলাম, তাই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দেবেন।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ওই দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে এ আদালতে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় একটি মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। এছাড়া, ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।