দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সম্ভাব্য রায় এবং তা আইনি ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার করণীয় নির্ধারণ ছাড়াও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক শেষে এই মামলায় রায়ের জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগ) জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।