লৌহজংয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেনা অনেক শিক্ষার্থী।

লৌহজংয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেনা অনেক শিক্ষার্থী।

 

acmartbd

মোঃ মানিক মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (মুন্সীগঞ্জ)॥

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় পাস করার পরেও ৬ষ্ঠ শ্রেনী বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেনা। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাকরা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অনেকে উত্তির্ণ হতে না পারায় এ ভর্তি সংকট দেখা দিয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থীর ঝড়ে পরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

লৌহজংয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেনা অনেক শিক্ষার্থী।

এ নিয়ে গতকাল উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এছাড়া মাদক, বাল্যবিয়ে, শিমুলিয়া ঘাটে মাহেন্দ্র ও সিএনজি চালকদের মধ্যে সিরিয়াল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার ও মারামারির ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পাউন্ডের ভেতরে পুরুষ শিক্ষকদের কোয়ার্টার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়ায় সভায় সমালোচনা করে বক্তব্য দেন মো. রফিকুল ইসলাম ঢালী। দেশে শিক্ষদের দ্বারাও এখন যেভাবে ছাত্রী ধর্ষিত বা নির্যাতন হচ্ছে তাতে এখানে পুরুষ শিক্ষদের কোয়ার্টার নির্মাণ করা হলে সে ধরণের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন তিনি। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেনর সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ওসমান গণি তালুকদার। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন আক্তার স্বর্ণা, লৌহজং থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান, কনকসার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, লৌহজং-টেউটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, বেজগাও ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক শিকদার, কলমা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মোতালেব শেখ, বিক্রমপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. মাসুদ খান, কনকসার ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মনির হোসেন মাস্টার, মো. রফিকুল ইসলাম ঢালী প্রমূখ। উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাদের মিয়া সভাকে জানান, প্রথমিক সমাপনি পরক্ষীয় এ বছর লৌহজংয়ে পাশের হার ৯৮.৪৫ ভাগ। কিন্তু মাধ্যমিক স্কুলগুলো তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে অনেক শিক্ষার্থী সেখানে ভাল ফলাফল না করতে পারায় বিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি নিচ্ছেনা। এতে করে অনেক শিক্ষার্থী ভতি না হতে পেরে এখানের তাদের পড়ালেখা ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার (মাধ্যমিক) মো. সোহেল হায়দার সভাকে জানান, এ রমক অভিযোগ পাওয়ার পর কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শণ করে খোজখবর নিয়ে জানতে পারি কোন কোন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় খুবই খারাপ ফলাফল করেছে। তাছাড়া বিদ্যালয়গুলোর তাদের কমিটির সিদ্ধান্ত মতে ভর্তি নিচ্ছে। তবে সমাপনী পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল করলেও কোন শিক্ষার্থী জোনো পড়া-লেখা থেকে ঝড়ে না পড়ে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment