প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫১৩

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫১৩

বাংলাদেশকে ৫০০ রানের মধ্যে আটকাতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তাদের ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবীরা সেই ইচ্ছার কথা জানান। কিন্তু সেটা পূরণ হলো না। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তাদের এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এনিয়ে দেশের টেস্ট ইতিহাসে সপ্তমবার এক ইনিংসে ৫০০ বা তার বেশি রান করলো বাংলাদেশ, আর এমন স্কোর হলো প্রথম ইনিংসে তৃতীয়বার। প্রথম দিনের মতো নতুন দিনের শুরুটা দারুণ না হলেও মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধে সমৃদ্ধশালী স্কোর করলো বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার শুরুতেই আউট হন মুমিনুল হক। এরপর প্রথম সেশনে আরও দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওই ধাক্কা সামলে নেন মাহমুদউল্লাহর। অধিনায়কের ব্যাটে ৭ উইকেটে ৪৬৭ রানে থেকে লাঞ্চে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই হাফসেঞ্চুরি করেন মাহমুদউল্লাহ। কয়েক বল পরই পড়ে বাংলাদেশের অষ্টম ও নবম উইকেট। বাংলাদেশ ৫০০ রানের ঘরে পৌঁছানোর সময় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৩৪ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫১৩এর আগে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসকে ডাবল সেঞ্চুরি বানানোর প্রত্যাশা নিয়ে বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছিলেন মুমিনুল। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটাই খেলা হলো না তারা। নতুন দিনের শুরুতে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান। ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে খেলতে নেমে ঝুলিতে আর মাত্র একটি রান যোগ করতে পেরেছেন মুমিনুল। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ১৮১ রানকে টপকে যেতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ১৭৬ রান এসেছে ২১৪ বল থেকে, ১৬টি চার ও ১ ছয়ে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে রঙ্গনা হেরাথের স্পিনে পরাস্ত হন মুমিনুল। তাকে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ বানান শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় শীর্ষ উইকেট শিকারি। মুমিনুল ও মুশফিকের ২৩৬ রানের জুটিতে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৩৭৪ রানে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দিনের শুরুতে আরও একটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মোসাদ্দেক হোসেনকে (৮) লাকশান সান্দাকানের ক্যাচ বানান হেরাথ। বাংলাদেশের স্কোর চারশ’র ঘরে নিয়ে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি ২৭ রানের। লাহিরু কুমারার থ্রোতে নিরোশান ডিকবেলা রান আউট করেন মিরাজকে। মাহমুদউল্লাহ ৯২ বলে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি করেন। তার সঙ্গে সানজামুল ৫৮ রানের জুটি গড়ে দ্বিতীয় সেশনের প্রথম শিকার হন। ২৪ রানে স্টাম্পিং হন তিনি। তাইজুল ইসলামকে বোল্ড করেন হেরাথ। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩৫ রানে জুটি গড়ে স্কোর ৫০০ ছাড়ান মোস্তাফিজ। ২১ বলে ৮ রান করে সুরাঙ্গা লাকমলের বলে ডিকবেলার ক্যাচ হন তিনি। ১২৯.৫ ওভারে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। লাকমল ও হেরাথ তিনটি করে উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment