দোহারে ইউএনও’র মহৎ উদ্যেগ ভিক্ষাবৃত্তি না করার শর্তে জমি-বাড়ি ও চাকুরি পেলেন এক ভিক্ষুক

দোহারের ইউএনও’র মহৎ উদ্যেগ ভিক্ষাবৃত্তি না করার শর্তে জমি-বাড়ি ও চাকুরি পেলেন এক ভিক্ষুক

মাহবুবুর রহমান টিপু,বিশেষ প্রতিনিধি(ঢাকা):-
ঢাকার দোহার উপজেলায় এক পঙ্গু ভিক্ষুককে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেওয়ার শর্তে জমি-বাড়ি ও চাকুরী দিলেন দোহারের ইউএনও কে এম আল-আমিন। সৌভাগ্যবান ভিক্ষুক হলেন উপজেলার লটাখোলা গ্রামের বিল্লাল মিয়ার পঙ্গু ছেলে গোলাপ মিয়া(৩০)। সরেজমিনে দেখা যায়,গতকার শুক্রবার বিকালে উপজেলার জয়পাড়া বড় ব্রীজের উপর ভিক্ষাবৃত্তি করছিল পঙ্গু গোলাপ মিয়া।এ সময়ে ইউএনও’র গাড়ী দেখে পঙ্গু গোলাপ মিয়া সাহায্য চাইলে ইউএনও কেএম আল-আমিন ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ভিক্ষুক গোলাপকে গাড়ীতে তুলে তার বাড়িতে গেলে দেখতে পান গোলাপ একজনের ছাড়া-বাড়িতে ভাঙ্গা-চোরা টিনের ঘরে থাকে তার পরিবার নিয়ে।পরে তাৎক্ষনিক সংবাদ দিয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
দোহারের ইউএনও’র মহৎ উদ্যেগ ভিক্ষাবৃত্তি না করার শর্তে জমি-বাড়ি ও চাকুরি পেলেন এক ভিক্ষুকমো.তোফাজ্জল হোসেন,ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম ও উপজেলা সহকারি(ভুমি)কমিশনার সালমা আক্তারকে সাথে নিয়ে মাহমুদপুর আশ্রায়ন প্রকল্পে যান।সংবাদ পেয়ে দোহার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।এ সময়ে দোহারের ইউএনও স্থানীয় পরিবহনের সাথে আলাপকরে যমুনা সিটিং সার্ভিস এর লাইনম্যান হিসাবে চাকুরী নিশ্চিত করে আশ্রায়ন প্রকল্পে ভুমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বরাদ্ধ রাখা এক টুকরো জমি ও একটি বাড়ি উপহার হিসাবে তুলে দেন। আনন্দে আবেগ-আপ্লুত সৌভাগ্যবান গোলাপ মিয়াসহ অসহায় পরিবারটি সহায়তা পেয়ে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীর সময়কে বলেন, সে অনেক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করে তার জীবিকা নির্বাহ করতেন।বেশ কয়েকদিন যাবৎ ভিক্ষা করে তেমন অর্থ পাওয়া যাচ্ছিল না, কিন্তু কি করার আছে আমার বাম পা ছিল অচল।তবুও সংসার ধর্ম বলে কথা।ভিক্ষা না করলে সন্তান ও বিবি নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।আর এমন সময়ে দেখা মিললো এক দেবতার সাথে যিনি ঘর-বাড়ি,চাকুরী সবই দিলেন।তার কাছে শুনলাম আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্প তৈরী করে অসহায় ভুমিহীনদের জন্য একটুকরো জমি ও ঘর বরাদ্ধ রেখেছেন।
অনুসন্ধানী সুত্রে জানা যায়,কেএমআল-আমিন একজন উদ্যেগী চিন্তাচেতনার মানুষ।দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে আছেন দু’বছর যাবৎ।প্রশাসনিক দায়িত্বের বাইরেও তার উদ্যেগী বেশকিছু সামাজিক কর্মকান্ড সাড়া ফেলেছে সবার মনে।উজ্জল হয়েছে সরকারসহ প্রশাসনের ভাবমূর্তি।ইতিমধ্যে ইউএনও’র উদ্যেগে পাল্টে গেছে দোহার উপজেলার স্কুলছাত্রী সুস্মিতা,আনোয়ারা,প্রতিবন্ধি রুনা,মাদকসেবী রমজান ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে শিল্পীসহ বেশ কয়েকজনের জীবনের হতাশার গল্প।এছাড়াও সামাজিক কর্মকান্ডে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার অবদান স্বরনীয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment