স্বাধীনতা কাপ পরিশ্রমী তরুণদের হাতে

এই প্রথম বড় কোনো আসরের শিরোপা জিতল আরামবাগ।
তরুণদের নিয়ে গড়া×হয়েছে আরামবাগ দল, চট্টগ্রাম আবাহনী অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ে সমৃদ্ধ।
প্রিমিয়ার লিগে আরামবাগের অবস্থান ছিল সপ্তম। আর চট্টগ্রাম আবাহনী হয়েছিল রানার্সআপ।


ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা!’রবীন্দ্রনাথের কবিতাটাই যেন শেষ বিকেলে আবৃত্তি হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। বলের দখলেই আরামবাগের একদল তরুণ দারুণ ছন্দে করে দেখাল তা। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে শিরোপা উৎসব করল আরামবাগ।কোচ মারুফুল হকের অধীনে তরুণদের নিয়ে গড়া ক্লাব পাড়ার দলটি দুর্দান্ত এক প্যাকেজ। বিল্ড আপ পাসিংয়ে এক সঙ্গে আক্রমণে ওঠে, আবার বল হারালেই দ্রুত রক্ষণ সামলায়। গায়ে গতরে খাটা পরিশ্রমী দলের প্রতীক। যাদের কাছে প্রতি পদক্ষেপে খাবি খেয়েছে তারকা মামুনুল, শাখাওয়াত রনিরা। সময়টা যে তারুণ্যের, পরিশ্রমীদের।২০ মিনিটেই এগিয়ে যায় আরামবাগ। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে শাহরিয়ার বাপ্পীর ক্রসে গোলমুখ থেকে হেডে গোলটি করেন আরিফ। ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরের জটলা থেকে কী দারুণ হেড। লাফিয়ে উঠে শেষ পর্যন্ত বলে চোখ রাখা। অসাধারণ! শুধু গোলের খাতায় খোলেননি আরিফ। বাঁ প্রান্তে তাঁর দাপটে কুলিয়ে উঠতে না পারায় রাইটব্যাক পিন্টুকে ২৮ মিনিটেই তুলে নিতে বাধ্য হন আবাহনী কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু।৪৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি তো আরও চমৎকার। বাম প্রান্ত দিয়ে সাইড স্টেপে ঘোল খাইয়ে বক্সে ঠিকানা লেখা ক্রস ফেলেন জুয়েল। সেই বলে দৌড়ে গিয়ে দূরের পোস্ট থেকে স্লাইড করে পা লাগিয়ে গোল করেন রাইটব্যাক রকি। দুর্দান্ত এক ওভার লেপে ২-০।গোলরক্ষক আজম , ডিফেন্ডার জাহিদ ও মিডফিল্ডার সোহাগ ছাড়া পুরো আরামবাগ দলের গড় বয়স বিশ এর নিচে। সেখানে আবাহনীর গড় বয়স হবে ছাব্বিশোর্ধ্ব।
ম্যাচ শেষে শেষ হাসিটা তরুণদের

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment