গাইবান্ধায় কৃষকের স্বপ্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত নারী কৃষাণীরা

গাইবান্ধায় কৃষকের স্বপ্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত নারী কৃষাণীরা

গাইবান্ধা জেলার দিগন্ত জুড়ে নজর কাড়ছে ইরি-বোরো ধানের ক্ষেত। কৃষকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের এ ক্ষেতে আশানুরূপ ফলন পেতে সার-কীটনাশক প্রয়োগসহ আগাছা পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক ও নারী কৃষাণীরা। মৌসুমের শুরু থেকেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ইরি-বোরো চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে তারা।
গাইবান্ধায় কৃষকের স্বপ্ন পরিচর্যায় ব্যস্ত নারী কৃষাণীরাশুক্রবার জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। তবে নারী কৃষাণীরা শ্রম মূল্যেও বৈষম্য শিকার হচ্ছে। কৃষাণী কমেলা বেগম ও আনোয়ারা বেওয়া অভিযোগ করে বলেন, একজন পুরুষের মজুরী ৩৫০ টাকা, আর মহিলাদের মজুরী দেয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। এ বৈষম্য থেকে পরিত্রাণ চায় নারী শ্রমিকরা।

 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

কৃষক জলিল, সোলায়মান ও তসলিম উদ্দিন বলেন, চলমান আবহাওয়ার বিরূপ প্রক্রিয়া না ঘটলে গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্গাচাষি জহির উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেনসহ আরো অনেক কৃষক জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সার, ডিজেল ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বোরো আবাদ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।

 

গাইবান্ধা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, উপজেলার নিচু এলাকার কৃষকরা সেচ পাম্পের সাহায্যে জলাবদ্ধ বিলগুলোর পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদ করায় গতবারের তুলনায় এ বছর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।

 

এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণকে কখনো মাঠ পর্যায়ে দেখা যায় না। তারা যদি কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতেন তাহলে অধিক ফলন উৎপাদন করা সম্ভব হতো।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment