অন ডিমান্ড রাইডস ও এক্সপ্রেস ডেলিভারি সেবা নিয়ে টিকটক

অন ডিমান্ড রাইডস ও এক্সপ্রেস ডেলিভারি সেবা নিয়ে টিকটক

ই-কমার্স পার্সেল ডেলিভারি সার্ভিসে সাফল্যের পর টিকটক আসছে অন ডিমান্ড রাইড এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি সার্ভিস নিয়ে। টিকটকের পার্সেল ডেলিভারি সার্ভিস ইতোমধ্যে ই-কমার্স উদ্যোক্তা ও কাস্টমারদের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে টিকটকের সার্ভিস এরিয়া।
অন ডিমান্ড রাইডস ও এক্সপ্রেস ডেলিভারি সেবা নিয়ে টিকটকবর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, দোহার নরসিংদী, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়াতে ই-কমার্স পার্সেলগুলো ক্যাশ অন ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে প্রদান করছে।

ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রাজীব আহমেদ বলেন, ‘টিকটক পার্সেল ডেলিভারি সার্ভিস নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করার আগে অন্তত এক বছর ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে এবং তারা সব সময় ভালো সেবা প্রদানদের লক্ষ্যে যথেষ্ট সচেতন ছিল। তাই টিকটক ডেলিভারি সেবা প্রদানের কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। ই-ক্যাবের মেম্বার হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসেনি। এজন্য আমি টিকটক নিয়ে খুব আশাবাদী এবং আনন্দিত।’

রাজীব আহমেদ বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে টিকটকের ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটে খুব রাতারাতি এবং এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের কয়েকটি জেলাতে তারা সরাসরি সেবা দিতে পারছে। বাংলাদেশে এখন ই-কমার্স নিয়ে যেসব লজিস্টিক কোম্পানি কাজ করছে তাদের মধ্যে যে কোন বিচারেই টিকটক একদম প্রথম সারির একটি। আমার দেখা মতে খুব দ্রুত আগানো স্টার্টআপগুলোর মধ্যে টিকটক অন্যতম। আপনারা জেনে আরও খুশি হবেন এ বছরের জুলাই মাস থেকে টিকটক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নিয়ে মাঠে আসছে। আমি আশা করছি টিকটক ডেলিভারি সার্ভিসের মত টিকটক রাইডস ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং তাদের সেবার মান অব্যাহত রাখবে।’

টিকটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসাইন বলেন বলেন, ‘গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা মাত্র পাঁচজন কর্মচারী নিয়ে ই-কমার্স পার্সেল ডেলিভারি সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু করি। এই স্বল্প সময়ে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে একশ জনের বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের যোগান দিতে পেরেছি। আমাদের ইচ্ছা ছিল ই-কমার্স উদ্যোক্তা ও কাস্টমারদের মাঝে ডেলিভারি সংক্রান্ত যে হতাশা ছিল সেটাকে দূর করে দেয়া। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি।’

তিনি বলেন, ‘তবে এখনো প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি হই, আমরা বিশ্বাস করি চেষ্টা ও সদিচ্ছা থাকলে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে ৬৪ জেলায় আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ের দেয়ার। তবে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের ডেলিভারি সার্ভিসের পাশাপাশি অন ডিমান্ড রাইডস এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি নিয়ে আমাদের কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা শুরু করেছি। টিকটকের একটি অ্যাপের মাধ্যমেই আমাদের গ্রাহক আমাদের সার্ভিসসমূহ উপভোগ করতে পারবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী এপ্রিল মাসেই শুরু হবে আমাদের এক্সপ্রেস ডেলিভারি বা অন ডিমান্ড ডেলিভারি সার্ভিসের কার্যক্রম এবং মে মাস থেকে শুরু হবে আমাদের কার ও বাইক রেজিস্ট্রেশন।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment