গোপালগঞ্জে আবাদি জমিতে গুচ্ছ গ্রামের পরিকল্পনা

গোপালগঞ্জে আবাদি জমিতে গুচ্ছ গ্রামের পরিকল্পনা

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আবাদি জমিতে গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ও ক্ষুব্ধ সেখানকার কৃষকেরা।
গোপালগঞ্জে আবাদি জমিতে গুচ্ছ গ্রামের পরিকল্পনাস্থানীয়রা জানান, বিগত একশ বছর ধরে মধুমতি নদী গতিপথ পরিবর্তন করে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সরে এসেছে। এর ফলে পরাণপুর গ্রামের ৯৩ নং মৌজার বারোআনি জমি বিভিন্ন সময়ে একদিকে যেমন তলিয়েও গেছে, আবার অন্যদিকে চরও জেগে উঠেছে। আবার, বহু জমি চলে গেছে নদীর ওপারে নড়াইল জেলা সীমান্তে। জেগে ওঠা চরের এসব জমির সিএস, আরএস এবং এসএ রেকর্ডীয় মালিকানার কাগজপত্র রয়েছে। সে অনুযায়ী বংশ পরাম্পরায় তারাই এসব জমি চাষাবাদ ও ভোগ করে আসছিলেন বলে জানান তারা।

কিন্তু বিআরএস রেকর্ডের সময় জমির মালিকদের কিছু না জানিয়ে তৎকালীন সার্ভেয়ার সরেজমিনে না গিয়ে ঘরে বসে এসব জমি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত করেছেন বলে অভিযোগ তাদের। বছর তিনেক আগে বিষয়টি জানতে পেরে তারা জমি ফিরে পেতে আদালতে যান এবং জেলা জজ কোর্টে দু’টি মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি একটি মামলায় ৯৩শতাংশ জমির রায়ও বাসিন্দাদের পক্ষে আসে।

তবে গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে সেখানে বিশাল জায়গা জুড়ে চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়ে লাল পতাকা টাঙ্গানো হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। নদী সিখস্তির দোহাই দিয়ে সরকার যেন তাদের জমিগুলো ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তাদের।

এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মাঈনুদ্দিন জানান, বিআরএস রেকর্ডের সময় মুধমতি নদীর জেগে ওঠা চরে পরাণপুর ৯৩নং মৌজার প্রায় ১০ একর জমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। সে সময় কেউ কোনো জমির মালিকানা দাবি করেনি। এর আগে নদী সিখস্তির কারণে তলিয়ে যাওয়া জমির অবলোপনের জন্যও কেউ আবেদন করেনি। গোপালগঞ্জে বহু হতদরিদ্র ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের পুনর্বাসনের জন্যই পরাণপুর মৌজায় সরকারি জমিতে গুচ্ছ গ্রাম তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে শুরুতেই অন্তত ৪০টি গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment