কু’বিতে অাবারও সাংবাদিক পেটালেন ছাত্রলীগ

কু'বিতে অাবারও সাংবাদিক পেটালেন ছাত্রলীগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
আগে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাব্রী সাবেরিন গালিব। শনিবার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাসের কক্ষ ভাংচুর করতে তার হলে যায়। পেশাগত কাজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ওই সাংবাদিককে মারধরের শিকার হন। জানা যায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাসের কক্ষ ভাংচুর করতে কাজী নজরুল ইসলাম হলে যায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির সমর্থকরা।
কু'বিতে অাবারও সাংবাদিক পেটালেন ছাত্রলীগএসময় ওই হলে আইন বিভাগের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের বিশ্ববি দ্যালয় প্রতিনিধি সাব্রী সাবেরিন গালিব পেশাগত কাজে তথ্য সংগ্রহে গেলে তাকে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ ইসলাম গল্প, সহ-সভাপতি দ্বীন ইসলাম লিখন, উপ-সমাজ সেবাবিষয়ক সম্পাদক (বহিস্কৃত) মুনতাসির আহমেদ হৃদয়সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বেধড়ক মারধর করেন। তারা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পরে ওই সাংবাদিককে ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এর আগেও গত বছরের ২৬ জানুয়ারি বায়েজিদ ইসলাম গল্পকে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক নাহিদুল ইসলামকে স্বস্ত্রীক লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ১৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিককে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দ্বীন ইসলাম লিখনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপরও গত ২২ নভেম্বর ১৬১ সদস্যবিশিষ্ট শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে দ্বীন ইসলাম লিখনকে সহ-সভাপতি করা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দ্বীন ইসলাম লিখন প্রধান অভিযুক্ত।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শিক্ষক, সাংবাদিক লাঞ্ছনাসহ বিভিন্ন সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের অনুসারী। এ বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘যুগ্ম সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস হলের টাকা নিয়ে চলে যাওয়া ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তার হলে গেলে এ সময় একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।’ সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ বলেন, ‘শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে রবিবার লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে। প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছে।

সাংবাদিক সমিতি এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করছে। বিচারের জন্য সমিতি কঠোর অবস্থানে যেতেও প্রস্তুত রয়েছে।’ ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রক্টরিয়াল বডিসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি এ সময় অভিযোগ শুনে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গঠনমূলক কাজ করে থাকে। অভিযোগের পরে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment