নওগাঁর সাপাহারে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ; স্বজনদের বিক্ষোভ

নওগাঁ প্রতিনিধি :-
নওগাঁর সাপাহারে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় নাছরিন আক্তার (২৮) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার সকালে মৃত্যুর স্বজন ও এলাকাবাসী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ করে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামাশ্রম গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে নাছরিন আক্তার শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে ¬কন্যা সন্তান প্রসব করেন। পরবর্তীতে ফুল না পড়লে রাত সাড়ে ৯টার সময় সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে স্বজনরা। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাছরিন কে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়।
তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন নাছরিনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। মহিলা ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্সগণ প্রসূতির স্বজনের কাছ ইঞ্জেকশন করার জন্য দেড় হাজার টাকা দাবি করে। এনিয়ে স্বজনদের সাথে কর্তব্যরত নার্সের বাকবিতন্ডা হয়। এর অনেক পরে রোগীকে ইনজেকশান দেয়া হয়। এতে ক্রমেই অবনতি হলে পরের দিন শনিবার সকালে প্রসূতিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করা হয়। রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার আগেই শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রসূতির মৃত্যু হয়। মৃত প্রসূতির বড় ভাই নুর আলম অভিযোগ করে বলেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে আমার বোন মারা যেত না। চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার কারনেই নাছরিন আক্তারের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এই ঘটনা জানাজানি হবার পর রোববার সকালে মৃত প্রসূতির স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে দায়ী চিকিৎসক ও নার্সদেও বিচার দাবি করে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের প্রসূতি ওর্য়াডের ইনচার্জ ডা: নাহিদুজ্জামান বলেন প্রসূতি চিকিৎসার বিষয়ে কারো কোন গাফলতি নেই। সকালেরের্ফাড করা হলেও তারা রোগীকে নিয়ে যেতে বিলম্ব করেছে।
সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ইফতে খাইরুল আলম খান রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার বিলম্বের উল্লেখ করে বলেন টাকার বিনিময়ে ইঞ্জেকশনের বিষয়ে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার-নার্সদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাপাহার থানার ওসি শামছুল আলম জানান, ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়েরর প্রক্রিয়া চলছে। নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment