সম্পর্ক যাই হোক, দ্বায়িত্ব পালন করলেন বড় ছেলে অর্জুন

সম্পর্ক যাই হোক, দ্বায়িত্ব পালন করলেন বড় ছেলে অর্জুন

বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেত্রী শ্রীদেবীর ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে বনি কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের সূচনা হয়। এরপর থেকেই শ্রীদেবীর মধ্যে, তা ক্রমশ পরিণতির দিকে মোড় নিতে শুরু করে।
সম্পর্ক যাই হোক, দ্বায়িত্ব পালন করলেন বড় ছেলে অর্জুনএক সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবী এবং বনি কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন বলে প্রশ্ন করায় বেশ কড়াভাবেই জবাব দেন অর্জুন। বলেন, ‘শ্রীদেবীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনো ভালো হতে পারে না। উনি শুধু মাত্র আমার বাবার স্ত্রী। এর বাইরে আর কিছু না।’ তবে শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না হলেও, তার মা কখনো কাউকে অশ্রদ্ধা করতে শেখাননি বলেও এক টেলিভিশন শোতে মন্তব্য করেন অর্জুন কাপুর। যদিও, শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই সব দূরত্বকে একপাশে সরিয়ে রেখে খুশি এবং জাহ্নবীর পাশে এসে দাঁড়ান অর্জুন কাপুর।

পুরনো এক সাক্ষাৎকারে অর্জুন কাপুর একবার বলেছিলেন ,খুশি আর জাহ্নবীর সঙ্গে তার কথাবার্তা ওঠা বসা কোনও দিনও হয়নি। শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুরের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মোনা শৌরির ছেলে অর্জুন কাপুর। শ্রীদেবীর সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না বলেই জানে ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু সেই সৎ মা শ্রীদেবীর মৃত্যুতে যেভাবে বাবা বনি কাপুরের পাশে দাঁড়ালেন অর্জুন। পিতা পুত্রের আন্তরিক সম্পর্কের আরেকটি অধ্যায় দেখল বলিউড।

শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকে শোকাহত বনি কাপুরকে দুবাই প্রশাসনের আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে হয়। শোনা যাচ্ছে, একদিকে শোক অন্যদিকে এই আইনি কাজকর্মের মধ্যে পড়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়তে থাকেন বনি। আর ৩ দিন ধরে বাবার এই অবস্থার কথা শুনে আর থাকতে পারেননি অর্জুন। মঙ্গলবার সকালের ফ্লাইটে উড়ে গিয়েছিলেন দুবাই। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ দুবাই থেকে শ্রীদেবীর লাশ নিয়ে আসা হয় মুমবাইতে। সেই সফরে আগাগোড়া বাবা বনি কাপুরের পাশে ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে অর্জুন। সঙ্গে ছিলেন বনিকাপুরের ভাই সঞ্জয় ও আত্মীয় রিনা ও সন্দীপ মারওয়া।

অর্জুনের ছোট বোন তথা বনি কাপুরের প্রথম স্ত্রী মোনা শৌরির মেয়ে অনশুলাও মঙ্গলবার রাতে অনিল কাপুরের সঙ্গে পৌঁছন মুম্বই বিমানবন্দরে। পরিবারের খারাপ সময়ে পাশে এসে দাঁড়ান অনশুলাও। রাতে বনির বাড়িতে অনশুলা-অর্জুন। বিমানবন্দর থেকে আসার পর , রাতে বনি কাপুরের বাড়িতে যান অনশুলা ও অর্জুন কাপুর। মিডিয়ার ফ্ল্যাশবাল্বের ঝলকানি এড়িয়েই গ্রিন একর্সের বাড়িতে ঢুকে যায় তাদের গাড়ি।

আগে যদিও অর্জুন কাপুর বলেছিলেন, জাহ্নবী ও খুশির সাথে কোনও যোগায়োগ নেই তার। তারা কথাও বলেন না। এদিকে, সৎ মা শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর দুবাইয়ে প্রশাসনিক জটিলতায় আটকে দেহ। সেই ৩ দিনই সৎ বোন জাহ্নবী ও খুশির সঙ্গে গিয়ে দেখা করে ,তাদের পাশে ছিলেন অর্জুন। শ্রীদেবীর মৃত্যুতে অর্জুন বার বার প্রমাণ করেছেন পরিবারের বড় ছেলে হিসাবে তার দায়িত্ব। অতীতের সমস্ত তিক্ততাতে ভুলে মানবিকতার দিক থেকে এগিয়ে এসে সে নিজের পরিচয় দিয়েছেন এই অভিনেতা।

বনি কাপুরের সঙ্গে যখন তার প্রথম স্ত্রী মোনা শৌরির বিচ্ছেদ হয়, তখন অর্জুনের বয়স ছিল ১১ বছর। অনশুলা আরও ছোট ছিলেন। এরপর থেকে মা মোনার সঙ্গে আলাদা বাড়িতে আলাদা জীবনযাত্রায় মানুষ হন অর্জুন ও অনশুলা কাপুর। অন্যদিকে, নতুন জীবনযাত্রা শুরু করেন শ্রীদেবী ও বনি কাপুর।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment