গাছে মাটির ভাঁড় ঝুলিয়ে সাতক্ষীরার শহরের রাজার বাগান গ্রামের যুবক তার বাড়িকে পাখির আশ্রয়স্থল বানিয়েছেন। পাখি প্রেমিক এই যুবকের নাম আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ। তার বাড়ি আঙিনাকে পাখি বাড়ি ঘোষণা করে এলাকাবাসী।
পাখি পোকা মাকড় খায়, ফসল বাঁচায়। বীজদানা খেয়ে নতুন গাছের জন্ম দেয়। “পাখি পরিবেশের বন্ধু। আসুন পাখির বৈচিত্র্য রক্ষা করি। পাখির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা প্রকাশ করি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সহযোগিতায় এ পাখি বাড়ির ঘোষণা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বারসিকের সমন্বয়কারি পাভেল পার্থ, শেখ ফারুকুজ্জামান ডেভিড, পাকি বাড়ির উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান সরদার, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারণ সম্পাদক গাজী আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ হাসান, প্রচার সম্পাদক নূরুল হুদা, শাকিল হোসেন, আওসাফুর রহমান, আব্দুল কাদের, আবুল হোসেন, শওকাত হোসেন, প্রেমা, রুপা প্রমুখ।
পাখি প্রেমিক আসাদুজ্জামান জানান, পাখির প্রতি ভালোবাসা দেখাতে আমার এই উদ্যোগ। কেউ যেন পাখি না মারে। পাখি অবাধে চলাফেরা করতে পারে সেই সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছি। গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ জানান, মানুষের প্রয়োজনে পাখির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে। পাখি না থাকলে খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙে পড়বে। এই বাড়িটা একটি বিশেষ বাস্তুসংস্থান। যেখানে পুকুর, গাছ, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ প্রকৃতির বৈচিত্র্যে ভরপুর। পাখি বসবাসের জন্য এমন একটি বাড়ি খুবই ভালো। এ ধরনের উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, এমন উদ্যোগ খুবই ভালো। এতে করে পাখির প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি হবে। সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। সবাইকে আসাদের মতো ভালবাসা দেখাতে হবে। পাখিবাড়ি উদ্যোগটি একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ।
