ইউরোপ মহাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ভয়াবহ ঠাণ্ডা ও তুষার ঝড়ে অচল হয়ে পড়ছে। যানবাহন চলাচল ও সেতুগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে এসব এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিরূপ আবহাওয়ার ফলে ইতোমধ্যে ৫৫ জন নিহত হয়েছে। শুধুমাত্র পোল্যান্ডেই মারা গেছেন ২১ জন, যাদের বেশিরভাগই খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়ে ছিলেন।
ভয়াবহ এ ঠাণ্ডা দরিদ্র, গৃহহীন ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ওপর বড় ধরনের বিপদ বয়ে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ‘বৃদ্ধ ও শিশু, যাদের ঠাণ্ডাজনিত অসুখ আছে, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা যাদের শারিরীক বা মানসিক সীমাবদ্ধতা আছে তারা এখন সবচেয়ে ঝুঁকিতে, এক বিবৃতিতে বলেছে ডব্লিউএইচও।
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তুষারপাতের সঙ্গে দক্ষিণ থেকে ধেয়ে আসা ঝড় এমার জোড়াধাক্কা দেখার অপেক্ষা করছে আয়ারল্যান্ড। ডাবলিন বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে; ব্যস্ত এ বন্দরের বিমান ওঠা-নামা শনিবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলেও রানওয়ে থেকে তুষার সরিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি ফের চালু করা হয়। ফ্রান্সে মঁতপেল্লি শহরের কাছে একটি মহাসড়কে প্রায় দুই হাজার গাড়ি আটকে পড়েছে। চালকদের অনেকেই সড়কে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অসহায় অবস্থানে থাকার অভিযোগও করেছেন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ার ছোবলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আমস্টারডামের শিফোল বিমানবন্দরও; কেএলএম এয়ারলাইন্স তাদের ডজনের ওপর ফ্লাইট বাতিল কিংবা দেরিতে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও ব্রাসেলসের মধ্যে চলাচল করা ইউরোস্টারের রেল যোগাযোগও বিঘ্নিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সূত্র :বিবিসি