জগন্নাথপুরে ফসলরক্ষার নামে সরকারি টাকা অপচয় করে বালুর বাঁধ!

জগন্নাথপুরে ফসলরক্ষার নামে সরকারি টাকা অপচয় করে বালুর বাঁধ!

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ টি ফসলরক্ষা বাঁধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ কাজ নিয়ে এলাকায় সমালোচনা ঝড় বইছে।৩ টি বেরীবাধঁই শালা দুলাভাই এর বেরী বাধঁ নামে এলাকায় পরিচিতি পাচ্ছে। মাটি থাকার পর বালু দিয়ে বাধঁ নিমার্ণ করা হয়েছে।
পাউবো সুত্রে জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নলুয়া হাওরের কাপনার বাঁধে প্রকল্প নং ১৪,৯১,৯২ বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধিকরণ ও বিভিন্ন ভাঙ্গা বন্ধের ১.৮৫৪ কিঃ মিঃ কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় প্রায় ৪৮ লাখ ১০ হাজার ৯৫ টাকা। পিআইসি নং ১৪ সভাপতি হলেন রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য নারকেলতলা গ্রামের মৃত আফছর উল্লাহ ছেলে আবুল কালাম ও সদস্য সচিব উনার শ্যালক নারকেলতলা গ্রামের আব্দুল তাহিদের ছেলে ছানু মিয়া। ০.৪৮০ কিলোমিটার বিকল্প বাধঁ নিমার্ণ ও বাধঁ পুন:রাকৃতিকরন কাজের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয় ১৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকা।
বাঁধটি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্টীলব্রীজের কাছ থেকে বাধঁটি শুরু হয়ে দক্ষিণ দিকে কাপনার হাওরের দিকে চলে গেছে।সরকারী নীতিমালা না মেনে বাঁধের কাছ থেকেই বালু মাটি উত্তোলন করে বাধঁটি নিমার্ণ করা হয়েছে। পরবর্তিতে বালু না দেখার জন্য উপরে অল্প কাদা মাটির প্রলেপ দেয়া হয়েছে।
আরেটি বেরীবাধেঁ গিয়ে দেখা যায়, একই ইউনিয়নের পিআইসি নং ৯১ এ একই রকম বালু মাটি দিয়ে কাজ করা হয়েছে। ০.৯৬৭ কি:মি: এ ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৮ লক্ষ ৩ হাজার ৩শত ৩৪ টাকা। পিআইসি’র সভাপতি ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালামের শমনদি নারকেলতলা গ্রামের মৃত আব্দুল তায়িদের ছেলে মাহমুদুল করিম ও সদস্য সচিব নারকেলতলা গ্রামের জফর উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহাবুদ্দিন।
এছাড়া অপর একটি বাঁধে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৮ লক্ষ ৩ হাজার ৩ শত চৌত্রিশ টাকা। পিআইসি’র সভাপতি হলেন ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালামের শমনদি নারকেলতলা গ্রামের মৃত আব্দুল তায়িদের ছেলে মো: সাজিদুল করিম ও সদস্য সচিব একই গ্রামের মৃত জমসেদ মিয়ার ছেলে মো: আক্কাছ মিয়া।এ বাঁধেও নামমাত্র কিছু মাটি ফেলা হয়েছে।কোন সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি,খুব কাছ থেকে মাঠি তোলা হয়েছে। পিআইসি’র সভাপতির সাথে বাধঁ সর্ম্পকে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার বাধঁ কোনটি এখন স্মরন হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মোঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর আঞ্চলিক অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও বেরীবাঁধ নির্মান কাজের সদস্য সচিব মো.নাসির উদ্দিন বলেন,বেরীবাধেঁর গোড়াতে কিছু বালু দিয়ে বাধাঁ হয়েছে।আমরা তাকে সরাতে বলেছিলাম।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment