কলাতলীর শামীম গেস্ট হাউজ ছিল আলমের ইয়াবার গোডাউন

কলাতলীর শামীম গেস্ট হাউজ ছিল আলমের ইয়াবার গোডাউন

মো: আলম (৪০)। বিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হতে পারেননি। পড়াশোনা করেছেন তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। কক্সবাজারের কলাতলি এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে চিংড়ি মাছের পোনার ব্যবসা, কটেজ, জমি কেনা-বেচার ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসা ফেঁপে উঠলে ডুবে যান ইয়াবার নেশায়। এক পর্যায়ে মিয়ানমার থেকে আসা এক মাদক ব্যবসায়ীর সাথে গড়ে ওঠে সখ্য। নিজেও জড়িয়ে পড়েন ইয়াবার কারবারে।

এভাবেই চিংড়ির পোনার ব্যবসায়ী থেকে হয়ে ওঠেন মাদক সম্রাট।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এই ইয়াবা সম্রাটের আদ্যপান্ত বর্ণনা দেন র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ার উজ জামান।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃত আলম কখনও এক লাখের নীচে ইয়াবা আনতেন না। এক সময় নতুন-পুরাতন গাড়ি বিক্রির ব্যবসাও করেছেন তিনি। এসব ব্যবসার আড়ালেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান এনে কক্সবাজারের কলাতলীর শামীম গেস্ট হাউজে মজুদ করে রাখতেন। এরপর নানা কায়দায় এসব চালান আনতেন ঢাকায়।

র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক আরো জানান, আলম দেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করতেন। তাকে সহযোগিতা করতেন আপন ছোট ভাই ঢাকা কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি আরো জানান, তাদেরই গাড়ি চালক গ্রেফতার মিজানুর রহমানও বাড়তি আয়ের নেশায় মাদক মাদক পরিবহন ও ব্যবসার কাজে জড়িয়ে পড়ে। আরেকজন আসামি সালাউদ্দিন গাড়ির গ্যারেজের মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে। আলম তাকেও অধিক লাভের আশায় প্রলুব্ধ করে ইয়াবার ব্যবসায়ে টেনে আনেন।

উল্লেখ্য, বুধবার রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকার মধুরবাজার থেকে আলমসহ চার ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যা ব।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment