কলাপাড়ায় গাভী পালন করে ভাগ্য বদলে গেছে গৃহবধূ ফাতেমার 

কলাপাড়ায় গাভী পালন করে ভাগ্য বদলে গেছে গৃহবধূ ফাতেমার 

মো.মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ-
গাভী পালন করে ভাগ্য বদলে গেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার গৃহবধূ ফাতেমা বেগমের। উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামের মতিউর রহমানের এক সময় সামান্য আয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হতো।
ছেলে-মেয়ে নিয়ে কখনো একবেলা কিংবা দু’বেলা আবার কোনদিন উপোষ থাকতে হতো তাদের। প্রতিবেশী ও স্বামীর পরামর্শে বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস) এর কলাপাড়া শাখার অধিনে পরিচালিত,পায়রা মহিলা সমিতিতে তিনি ভর্তি হয়ে ঋণের টাকা নিয়ে শুরু করেন গাভী পালন।

আর ক্রমশই বদলে যেতে থাকে তার ভাগ্যের চাকা। সে আজ গাভীর খামার করে হয়েছে স্ববলম্বী আর তার সংসারে এনে দিয়েছে স্বচ্ছলতা। তার খামার দেখে আশ-পাশের গ্রামের অনেকেই গাভীপালন শুরু করেছেন।

বিডিএস অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদুরতলী গ্রামের ফাতেমা বেগম প্রথম সহজ শর্তে ২০ হাজার টাকা ঋণগ্রহন করে ও নিজস্ব মূলধনে উন্নত জাতের একটি গাভী ক্রয় করেন। গাভীটি দৈনিক ১৫-২০ লিটার দুধ দেয়। যা তিনি স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করেন। পরবর্তিতে সে ওই সমিতি দিয়ে ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন।

আর দুধ বিক্রি টাকা দিয়ে আর একটি গাভী ক্রয় করেন। ঋনের টাকা পরিশোধ করে ফাতেমা বেগম আরো ৫০ হাজার টাকা ঋন তুলে গাভীর রাখার জন্য পাকা গোয়ালঘর তৈরি করেন। বর্তমানে তার খামারে সব মিলিয়ে ৮টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন সে ২৫-৩০ লিটার দুধ বিক্রি করেছে।

ফাতেমা বেগম জানান, কিছুদিন আগেও স্বামীর সামান্য আয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হত। এখন তিনি এক  মেয়ে এক ছেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখছেন। ভবিষ্যতে একটি ডেইরি ফার্ম করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফাতেমার স্বামী মতিউর রহমান জানান, তার স্ত্রীর নিরলস পরিশ্রমের কারনে এ গাভীর খামারটি তৈরী করেছে। সেও খামারে কাজ করছে। এখন আমাদের কষ্ট নেই।

বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা বিডিএস কলাপাড়া শাখা ব্যাবস্থাপক মো.মিজানুর রহমান জানান, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা ফাতেমা বেগম পূর্বের অবস্থান কাটিয়ে আজকের এই পর্যায় এসেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment