কলেজছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন

কলেজছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন

ভোলার দৌলতখানে মধ্যযুগীয় কায়দায় কলেজছাত্রীর হাত মুখ বেঁধে  সমস্ত শরীর ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করলো ৪ যুবক। এঘটনার পর মূল অভিযুক্ত তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে সন্ত্রাসীদের ভয়ে এখনো আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছেন ভিকটিমের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় দৌলতখান উপজেলা চরখলিফা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ভিকটিমের বসতঘরে ঢুকে তুহিন, জিন্নাহ, পাভেলসহ ৪ সন্ত্রাসী হাত মুখ বেঁধে ভিকটিম শারমিনকে ঘরের বাহিরে নিয়ে আসে। এরপর ৪ সন্ত্রাসী মিলে ভিকটিমের সমস্ত শরীর ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। এ সময় মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে ভেবে ভিকটিমকে বাড়ির উঠানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। শারমিনের কাঁতরানোর শব্দ শুনে পাশের ঘরের লোকজন এসে শারমিনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

তুহিনের বাবার সঙ্গে শারমিনের বাবার জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এঘটনা ঘটাতে পারে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাঁতরানো শারমিন জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে তুহিন ও তার বন্ধুরা অশালীন ব্যবহার করতো শারমিনের সঙ্গে। মাঝে মধ্যে শারমিনকে হুমকি-ধামকি দিলেও এলাকার প্রভাবশালী হিসেবে তুহিনের বিরুদ্ধে বিচার দেয়ার সাহস পেতো না শারমিনের পরিবার। গতকাল রাতে ঘরে ঢুকে প্রথমে শারমিনের মুখ বেঁধে তাকে বাড়ির উঠোনে নিয়ে আসে তুহিনসহ তার তিন বন্ধু। এরপর তারা ৪ বন্ধু মিলে চারটি ব্লেড দিয়ে শারমিনের সমস্ত শরীর ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকে। এ সময় পাভেল, জিন্নাহ মিলে তার দুই পা-এর নিচ থেকে দুটি ব্লেড দিয়ে খুঁচাতে থাকে। বুকের নিচ থেকে কোমর পর্যন্ত কোপানোর দায়িত্ব নেয় তুহিন। আরেক সন্ত্রাসী তার মাথায় আঘাত করেছে। এরপর অচেতন হয়ে গেলে আর কি হয়েছে তার বর্ণনা দিতে পারেনি শারমিন।
দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন মানবজমিনকে জানান, ভিকটিমের পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ না দিলেও পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনা শুনে প্রধান অভিযুক্ত সন্ত্রাসী তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং হাসপাতালে শারমিনের চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছে পুলিশ। এছাড়া ভিকটিমের পরিবার পুলিশি নিরাপত্তায় রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment