বাংলাদেশকে তীব্র আক্রমণ লঙ্কান মিডিয়ার

বাংলাদেশকে তীব্র আক্রমণ লঙ্কান মিডিয়ার

বাংলাদেশের বিপক্ষে করুণ হার, আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের বিপক্ষে দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেনকে মাঠ থেকে বের হয়ে আসার জন্য অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নির্দেশ এবং ম্যাচ জয়ের আনন্দ উদযাপনে টাইগারদের সম্মিলিত নাগিন ড্যান্স- সব মিলিয়ে বেজায় চটেছে স্বাগতিক দেশ শ্রীলঙ্কা। ব্যাপারটা তারা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে যে, এখন পুরনো কাসন্দি ঘাটতে শুরু করেছে খোদ সেদেশের মিডিয়াই।

শুক্রবার ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে হারার দিনে বাংলাদেশি তারকা সাকিব, মাহমুদুল্লাহ ও একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসানদের ‘আচরণ’কে তারা ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে। তাদের ক্ষোভের তীব্রতা এতটাই যে, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সমালোচনা করতে গিয়ে জগমোহন ডালমিয়াকে পর্যন্ত আক্রমণ করে বসেছে শ্রীলঙ্কান মিডিয়া।

কলম্বো থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ডে প্রকাশিত প্রতিবেদন, ‘বাংলাদেশ গেট অ্যাওয়ে উইথ স্ল্যাপ অন দ্য রিস্ট’-এ ডালমিয়ার প্রসঙ্গটা এসেছে। ১৯৯৭ সালে ওয়ানডে এবং ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছিল বাংলাদেশ। টাইগারদের এই দুটি সাফল্যেই কিংবদন্তিতুল্য ভারতীয় ক্রিকেট সংগঠক ডালমিয়ার বিশেষ ভূমিকা ছিল। যা আজও অসীম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বাংলাদেশ।

সে কারণেই লঙ্কান দৈনিক দ্য আইল্যান্ডের ক্ষোভ ডালমিয়ার প্রতি। তিনি হস্তক্ষেপ না করলে বাংলাদেশের মতো একটি দল কখনোই ক্রিকেট দুনিয়ায় জায়গা করে নিতে পারতো না- ব্যাপারটা এমন ভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন লঙ্কান মিডিয়া। তারা লিখেছে, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের বড় কর্তা, কলকাতার বিত্তশালী ব্যবসায়ী ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তবে তিনি বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেয়ার মতো দু-একটি ভুলও করেছেন। ডালমিয়াকে এখন বাংলাদেশকে টেস্ট মর্যাদা দেয়ার জন্য মরণোত্তর ১০০০ ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া উচিত বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের শেষ ওভারে আম্পায়ারের বাজে সিদ্ধান্তের স্বীকার হয়ে রান আউট হন মোস্তাফিজুর রহমান। লঙ্কান বোলার উদানা পর পর দুটি বাউন্সার বল করলেও একটিও নো বল ডাকেননি আম্পায়ার। ম্যাচের ওমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহকে মাঠ থেকে বের হয়ে আসার নির্দেশ দেন। পরে অবশ্য খেলা শুরু হয় মাহমুদুল্লাহর বীরত্বে দুই উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।

সেদিন কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহর ছক্কার পর নেমে এসেছিল নিস্তব্ধতা। স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে না পারার ক্ষোভটা লঙ্কানরা যে এভাবে মেটানোর চেষ্টা করবে, সেটা বাংলাদেশ বোধ হয় কখনোই ভাবতে পারেনি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত তারা কত নাটকীয়তার জন্ম দিতে পারে। তবে তারা যা-ই করুক, কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করছেন না টাইগাররা। তাদের লক্ষ্য আজ ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে বহু দিনের দুঃখ লাঘব করা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment