‘খালেদাকে কারাগারে রেখে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম’

'খালেদাকে কারাগারে রেখে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম'

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘৭৪’র প্রেক্ষাপট ২০১৮ সালের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ এই দুই মেরুকরণে বিভক্ত। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরতন্ত্রের মালিক এবং গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামের জননী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মালিক। তাই শাসকগোষ্ঠি অন্যায়ভাবে জালিয়াতির মামলা দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের কর্ণধারকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করতে যাচ্ছে।

 

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা আয়োজিত ‘দুর্নীতি-দুঃশাসন বিরোধী দিবস ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি অভিযোগ করেন, দেশে আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। শাসকের পছন্দের বিচারপতি দিয়ে বিচার বিভাগ চলতে পারে না। যা রাষ্ট্রের জন্য চরম লঙ্ঘন।

 

তিনি বলেন, দুর্নীতির ছায়া সরকার দেশের বড় অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখন ব্যাংক আমানতকারীদের টাকাও ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এক লক্ষ টাকা তুলতে গ্রাহকদের সময় লাগে তিন দিন। এটা কেন? একমাত্র সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে হয়েছে। সুতরাং জনগণ এখন সরকারকে দুর্নীতির সার্টিফিকেট দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিশেষে বিদায়ও হবে অনিবার্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার নাম করে বিদেশে পাঠানোর গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের খেলা বন্ধ করুন- দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন।

 

জাগপা নেতা মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘৭৪’র শেখ মুজিবের শাসনামলে ৬৪ জন দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করে তিনি যে সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আজ তিনি বেঁচে থাকলে ২০১৮ সালে এই দুর্নীতির তালিকা ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে যেত! বর্তমান আওয়ামী লীগ পুরোপুরি দুর্নীতিবাজ ও অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।

 

সভায় জাগপা’র সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান বলেন, ষড়যন্ত্র করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনের ফাঁদ পাতানো হলে জনগণই রুখে দেবে। তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

 

এসময় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এনপিপি’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন মোড়ল, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির, ইনসান আলম আক্কাছ, জাগপা নেতা গোলাম মোস্তফা কামাল, আরিফ হোসেন ফিরোজ, যুব জাগপা নেতা আরিফুল হক তুহিন, রিয়াজ রহমান, নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রুবেল, আব্দুর রহমান ফারুকী প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment