দীর্ঘ ৬ বছরের প্রেম। তারপর বিয়ে। দম্পতির সাড়ে ৪ বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু একটা অবিশ্বাসে এক নিমিষেই সব শেষ হয়ে গেল। স্ত্রীর ধারণা ছিল, স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। এই সন্দেহের বশে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত সংসারে। প্রায়ই রোজই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হতো। শেষ পর্যন্ত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই নারী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব যাদবপুর থানায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে- এই সন্দেহ থেকেই দুজনের মধ্যে দূরত্বের তৈরি হয়। দিনে দিনে সেই দূরত্ব, মনোমালিন্য ক্রমশ বাড়ছিল।
পারিবারিক সূত্র বলছে, শুক্রবার দুপুরেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর কাজে বেরিয়ে যায় স্বামী। সুইগিতে ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন তিনি। খাবার ডেলিভারি দিতে অনেক রাত পর্যন্তই তাকে বাইরে থাকতে হয়। কিন্তু তারপরেও স্ত্রীর মান ভাঙাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় চাউমিন কিনে ফিরছিলেন তিনি। যদিও চাউমিন নিয়ে বাড়ি ঢোকার আগেই সব শেষ।
রাস্তাতেই বাড়ি থেকে ফোন যায় স্বামীর কাছে। বাড়ির লোক জানান, সুধা নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
সুধার শ্বশুরবাড়ির লোকদের দাবি, ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তাই বাইরে থেকে কেউ-ই কিছু প্রথমে বুঝতে পারেনি। যদিও এই ঘটনায় সুধার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পূর্ব যাদবপুরের থানায় অভিযোগ করেছেন মৃতার মা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র: জি নিউজ
