অন্যান্য বার নির্বাচনী বছরে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হলেও এবার এমন কোনো আশঙ্কা দেখছেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আশা করছেন এবার নির্বাচন ঘিরে ‘অন্যরকম’ কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে না।রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জনতা ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে (এজিএম) প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অর্থনীতির স্থিতিশীল থাকবে এবং প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে দশমিক তিন শতাংশ। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ নেই। আগে নির্বাচন ঘিরে যে ‘অন্যরকম’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো, যা এখন নেই। সামনে জাতীয় নির্বাচনেও এমনটি হবে না।’
মুহিত জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে ব্যাংকের সুদহার দুই অঙ্ক থেকে এক অঙ্কে নামিয়ে আনবেন ব্যাঙ্কাররা।অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বছর দেখলাম হঠাৎ ব্যাংকগুলোর সুদের হার বাড়তে লাগল। এই সুদের হার বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ কোথাও লিকুইডিটির কোনো সমস্যা নেই। অনেকে বলেছেন, তাদের হাতে লিকুইডিটি রয়েছে, পয়সা রয়েছে তারা সেটা ব্যবহার করে না। মুহিত বলেন, ব্যাংক খাতে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ক্যাপিটাল মার্কেট সৃষ্টি করা। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটা ছোট্ট গ্রুপকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হবে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটের প্রসারতা বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী সরকারি চাকরিজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারি চাকরি হুকুম দেয়ার জন্য নয়, জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য। সরকারি চাকরিজীবীদের সেবার দেয়ার মানুসিকতা তৈরি করতে হবে। এসময় অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ আমানত এখন থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে যাবে। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদে অর্থ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিচ্ছে, যা এ খাতের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর নয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা সামসুদ্দোহা এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।