উপক‚লে সবুজ সোনায় স্বপ্নের হাতছানি  মৌসুমের প্রিয় ফল তরমুজের বাম্পার ফলনে খুশির ঝিলিক কৃষকসহ সবার মুখে 

মোয়াজ্জেম হোসেন,পটুয়াখালী:
উপক‚ল জুড়ে তরমুজ চাষিদের মুখে খুশির ঝিলিক। কারন ভাল ফলন হলে বাচ্চাদের লেখাপড়া সহ অন্যান্য কাজগুলো ভালভাবে চলবে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কৃষকের তরমুজ ক্ষেতে সবুজ সোনায় স্বপ্ন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মৌসুমের শুরু থেকেই অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাইয়ের প্রকোপ না থাকায় এবার তরমুজরে বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাল মূল্য পাওয়ায় বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখে কৃষক। তবে পরিবহন সিন্ডিকেটের কারনে তাদের এ খুশী হচ্ছে ম্লান। এদিকে চাষের উপযোগী জমি কমে যাওয়ায় তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের অনেক কৃষক পার করছে বেকার সময়। এ বছর জমির পরিমানে তরমুজের আবাদ কম হলেও বিগত বছরের চেয়ে ফলনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবী করেন তরমুজ চাষীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, তরমুজ চাষীরা ক্ষেত থেকে তরমুজ বাজারজাত করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোন কোন ক্ষেতে তরমুজ তুলে স্তুব করা হচ্ছে। আবার কোন ক্ষেত থেকে তরমুজ  ট্রাক অথবা ট্রলিতে বোঝাই করা হচ্ছে। প্রতিদিন ঢাকাগামী লঞ্চ, ট্রলার, কার্গো, ট্রাক যোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব তরমুজ বাজারজাত করা হচ্ছে।
উপক‚লে সবুজ সোনায় স্বপ্নের হাতছানি   মৌসুমের প্রিয় ফল তরমুজের বাম্পার ফলনে খুশির ঝিলিক কৃষকসহ সবার মুখে 
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এ বছর মাত্র ১’শ ৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। এছাড়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকা ও কৃষকরা বোর আবাধের উপর ঝুঁকে পড়ায় তরমুজ চাষের জমি অনেকটই কমে গেছে। এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখানকার ক্ষেতের তরমুজ ভালা রয়েছে। মৌসুমের বাকি সময়টা ভাল ভাবে কাটিয়ে উঠতে পারলে বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন ওইসব কৃষক। তবে গত বছর এ  উপজেলার ১২’শ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করেছিল। ওইসব চাষীরা ফলনও পেয়েছিল ভাল বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
তরমুজ চাষী আরিফ হাওলাদার এ বছর তিনি ২একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে তার চাষে খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ জমির তরমুজ ক্ষেত থেকে উত্তলোন করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। বাকী দেড় একর জমির তরমুজ এখনো ক্ষেতে রয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে অবশিষ্ঠ তরমুজ বাজারজাত করে ৫ লক্ষ টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছ।
উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের তরমুজ চাষী আবুল কালাম জানান, বিরূপ আবহাওয়ার শিকার না হলে না হলে বিগত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখে থাকবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, এবছর তরমুজ ক্ষেতে পানি সেচের কোন প্রকার অসুবিধা ছিলোনা। ক্ষেতের যে কোন সমস্যা দেখা শোনার জন্য আমাদের মাঠ কর্মীরা কাজ করেছেন। চলতি মৌসুমে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রত্যেক চাষী গত দুই/তিন বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। তবে সরকারের বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এ বছর তরমুজ চাষীদের সংখ্যা কমে গেছে বলে তিনি জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment