‘খালেদা জিয়ার মুক্তিই বিএনপির এক নম্বর শর্ত’

‘খালেদা জিয়ার মুক্তিই বিএনপির এক নম্বর শর্ত’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিই বিএনপির এক নম্বর শর্ত বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে একটি কথা বলি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি হচ্ছে আমাদের এক নম্বর দাবি, এক নম্বর শর্ত। তারপর অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে আর কিছু নিয়ে আলোচনা করব না।

 

সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা হলে শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচনমুখী দল। আমরা সবসময় নির্বাচন করে এসেছি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা বরাবরই করেছি। এটি আমরা করছি ঘোষণা দিয়েই। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন এভাবে হতে পারে না। জাতীয় সংসদ আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন এক নয়। এ অবস্থায় দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে। এর চেয়ে দুঃসময় দেশে আর আসেনি। এ সরকার ব্যাংক লুট করেছে, শেয়ারবাজার ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে, সুন্দরবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। এরা মানুষের কথা বলার অধিকার, ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এরা মানুষকে পুতুল বানাতে চাচ্ছে। এ সরকার একটি পুরোপুরি স্বৈরাচারী সরকার। এ সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দল ভাঙার চেষ্টা করছে। বিরোধী দল ধ্বংস করে দিতে চায়।

 

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের ভ্রান্ত নীতির কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে ব সমস্যায় পড়ছে দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশে আরেকটি অশনি সংকেত হলো রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক সংকটে পড়ছে। একজন লোকও নিয়ে যায়নি মিয়ানমার। তাদের নিয়ে কথাও বলে না মিয়ানমার। এ হলো আমাদের যোগ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাফল্য। আজকে দেশের এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা যায় না। যে বলে সে রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যায়।

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধানকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। ওখানে কিচ্ছু নেই। বন্দুক যাদের হাতে তাদের হাতে ক্ষমতা। আমরা নিরস্ত্র সাধারণ পাবলিক। আমরা অসহায় অবস্থায় পড়ে আছি। দেশের এ দুঃসময়ের কথা সবাই জানে। কিন্তু মুখ খুললে কি হয়? তাদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। শফিক রেহমানের মতো সাংবাদিককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়।

 

জাগপার প্রয়াত নেতা শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার দেশপ্রেম, গণতন্ত্রের জন্য ভালোবাসা স্পষ্ট কথা বলা আজকাল খুব একটা দেখা যায় না।

 

জাগপা আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান। আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লৎফুর রহমান প্রমুখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment