গাজীপুর সিটি নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রে ২৮ ২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড

গাজীপুর সিটি নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রে ২৮ ২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড

গাজীপুর মহানগর ও জেলার প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে ২৮ সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত (নারী) ১০ নং ওয়ার্ড। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডেই অবস্থিত নগর ভবন। এখানে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়। রয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত, তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জেলা কার্যালয়ও এই ওয়ার্ডে।  এসব বিবেচনায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড। পাশাপাশি নানা কারণে বেশ গুরুত্ব রয়েছে ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে এই ওয়ার্ড তিনটিতে সাবেক-বর্তমান ও নতুন প্রার্থীদের প্রচার- প্রচারণা চলছে। ওই তিন ওয়ার্ড মিলেই সংরক্ষিত (নারী) ওয়ার্ড। এতে নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারে আছেন বর্তমান কাউন্সিলরসহ কমপক্ষে তিনজন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ১২ জনের নাম প্রচারণায় রয়েছে। ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। ওইসব ওয়ার্ডে সাধারণ ভোটার ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিচিতি ও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
ওয়ার্ড নম্বর ২৮ (উত্তর ও দক্ষিণ ছায়াবীথি, পানির ট্যাঙ্কি) : এ ওয়ার্ডটিতে নগর ভবন, জেলা আদালত, ডিসি অফিস, এসপি অফিস, সরকারি স্কুল, কলেজ ও আবাসিক এলাকা হিসেবে শিক্ষিত মানুষের বসবাস। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। এ ওয়ার্ডটিতে বিএনপি সমর্থিত হাসান আজমল ভূঁইয়া বর্তমান কাউন্সিলর। এর আগে তিনি পৌর কাউন্সিলর ছিলেন। এবারও তিনি বিএনপির একক প্রার্থী। গত নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি শামীমকে হারিয়ে তিনি জয়লাভ করেন। এ ওয়ার্ডটিতে নির্বাচনী প্রচারে রয়েছেন আওয়ামী লীগের তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও পুস্তক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেন। এর আগের নির্বাচনে জাহিদ হোসেন প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু জাকির হোসেন নতুন প্রার্থী হলেও এলাকায় তাদের পরিচিতি রয়েছে।
ওয়ার্ড নম্বর ২৯ (ভোরা-সামান্তপুর):  এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৭শ’ ৮৪ জন, কেন্দ্রের সংখ্যা তিনটি। এখানে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মো. খায়রুল আলম। তিনি ছাড়াও ছাত্রদলের  সাবেক জিএস মো. নাসিমুল ইসলাম মনির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. শাজাহান মিয়া সাজু ও আওয়ামী লীগের আফছার উদ্দিন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এর আগের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন নয়জন। এবার তাদের অনেকেই নির্বাচনী মাঠে নেই। গত নির্বাচনে কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস মো. নাসিমুল ইসলাম মনির ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহজাহান মিয়া সাজুর সঙ্গে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খায়রুল আলম নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে নাসিমুল ইসলাম মনির সামান্য ভোটে  হেরে যান।
ওয়ার্ড নম্বর ৩০ (নীলেরপাড়া ও কানাইয়া): এ ওয়ার্ডে কেন্দ্র সংখ্যা তিনটি, মোট ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৪শ’ ৫৪ জন। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন। তারা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর মো. জান্নাতুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর মো. আকবর হোসেন, মো. শামসুল আলম (অরুন), মো. আদিল হোসেন, নাসির উদ্দিন মোল্লা ও মো. আব্দুর রাজ্জাক। এদের মধ্যে জয়দেবপুর বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় সমর্থন দিলে তিনি নির্বাচন করবেন।
সিটির ১০ নং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড: নগরের ২৮, ২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড নিয়েই সংরক্ষিত এই ওয়ার্ডটি। এই ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এতে প্রার্থী সংখ্যা প্রচারণায় রয়েছে চারজন। বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট মোসা. আয়েশা আক্তার। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের পাশাপাশি তিনি গাজীপুর জজ আদালতে আইনি পেশায় জড়িত আছেন। তিনি এবারো প্রার্থী হচ্ছেন। এছাড়া আরো দুইজন প্রার্থী মাঠে প্রচার-প্রচারণায় রয়েছে। তারা হলেন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রী মোসা. দীপা চৌধুরী ও রোকেয়া বেগম। এর আগের নির্বাচনে দীপা চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার নতুন প্রার্থী হয়েছেন রোকেয়া বেগম।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment