নির্বাচনী হাওয়া বরিশাল-২ : আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তা

নির্বাচনী হাওয়া বরিশাল-২ : আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে প্রার্থী নিয়ে অনিশ্চয়তা

বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস আগামী নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ এ আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ সৈয়দ শহীদুল হক জামাল বলেন, ‘আমি এখন কোনো দলে নেই, তাই আগামী নির্বাচনে রাজনীতিতে চমক দেখাতে চাই।’

বিএনপির অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়া এবং জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এদিকে এ নির্বাচনী আসনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জোর আলোচনা চলছে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) চেয়ারম্যান ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী। ফলে বরিশাল-২ আসনে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন উজিরপুর-বানারীপাড়ার ভোটাররা। দুই উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মতে, উজিরপুর এবং বানারীপাড়ায় বড় দুই দলের সাংগঠনিক শক্তি যথেষ্ট মজবুত। সে ক্ষেত্রে বিজয়ের জন্য দলীয় প্রতীক ছাড়াও এ আসনে প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ ও যোগ্যতা প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সন্ধ্যা নদীর তীরের জনপদ বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদীয় আসন পুনর্গঠনের ফলে বানারীপাড়ার সঙ্গে উজিরপুরকে যুক্ত করে বরিশাল-২ নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ করা হয়। মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৩৯০ ভোটারের আসন বরিশাল-২। একটি পৌরসভা ও ৮ ইউনিয়ন নিয়ে বানারীপাড়া উপজেলা। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৩২ জন। বানারীপাড়ার সচেতন মহলের মতে, এ উপজেলায় ভোটের পরিসংখ্যানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অনেকটা সমান সমান হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে আছে বিএনপি। অন্যদিকে উপজেলা, পৌর শাখা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে যথেষ্ট সংগঠিত। ফলে ভোটের শক্তিতে নৌকা ও ধানের শীষ কাছাকাছি হলেও দলীয় কোন্দল আগামী নির্বাচনে বিএনপির জন্য আত্মঘাতী হতে পারে। উজিরপুর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫৯। এ উপজেলার অধিকাংশ জনপদই বিল এলাকা। উজিরপুরের বিভিন্ন সূত্র মতে, উপজেলার ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রিজার্ভ ভোট রয়েছে। এছাড়া পৌর এলাকা এবং অপর ৫ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ও ভোটের ব্যবধান খুব বেশি নয়। তবে উজিরপুরেও বিএনপিতে রয়েছে নীরব গৃহবিবাদ। আওয়ামী লীগে দৃশ্যত তেমনটা নেই। তাই দুই উপজেলার সচেতন ভোটাররা মনে করেন, আগামী নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনে শুধু প্রতীক নয়, যোগ্য প্রার্থীই হবেন জয়-পরাজয়ের নিয়ামক।

জাতীয় সংসদের ১২০ নির্বাচনী এলাকা (বরিশাল-২) বানারীপাড়া ও উজিরপুর ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। ২০০৮ সালে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী এস শরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুকে প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম মনি। সংসদীয় আসন পুনর্গঠনের আগে (বানারীপাড়ার সঙ্গে পিরোজপুরে স্বরূপকাঠি) এখান থেকে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের মরহুম একে ফায়জুল হক, বিএনপির সৈয়দ শহীদুল হক জামাল, জাতীয় পার্টির (জেপি) গোলাম ফারুক অভি এবং বিএনপির বর্তমান কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। তালুকদার মো. ইউনুসের বাড়ি গৌরনদী উপজেলায় এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রথমে বরিশাল-২ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহে আলমকে। পরে অজ্ঞাত কারণে তা পরিবর্তন করে মনোনয়ন দেওয়া হয় তালুকদার মো. ইউনুসকে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক। তাদের মধ্যে রয়েছেন গোলাম সারওয়ার ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান খান, বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক এবং ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন।

এদিকে দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বানারীপাড়া-উজিরপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে পিআইবির চেয়ারম্যান ও সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের নাম। দুই উপজেলাতেই আওয়ামী লীগ এবং সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আগামী নির্বাচনে গোলাম সারওয়ার নৌকার প্রার্থী হবেন- এই আলোচনা মুখে মুখে। উজিরপুর ও বানারীপাড়ার সচেতন মহলের মতে, গোলাম সারওয়ার প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন। আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে এবং সাংবাদিকতার সুবাদে স্থানীয় মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্য থেকেই প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে গোলাম সারওয়ারের নাম।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস সমকালকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতি করছি। এমপি হওয়ার বাসনা নিয়ে রাজনীতির পথে আসিনি। আমার প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ সাবেক ছাত্রনেতা শাহে আলম বলেন, আগামী নির্বাচনে তিনি বরিশাল-২ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন। তিনি বলেন, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখেই আওয়ামী লীগ করছি। সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উজিরপুর-বানারীপাড়া থেকে মনোনয়ন চাওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর ওই দুই উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আবারও তাকে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছেন। ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘১৯৭০ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করব, না পেলে যিনি নৌকার প্রার্থী হবেন তার পক্ষে কাজ করব।’ বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, ‘তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা চাচ্ছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি।’

বরিশাল-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘আমার নির্বাচন করা বা না করার বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। তিনি আমার অনুকূলে সিদ্ধান্ত দিলে তা শিরোধার্য।’ তবে বানারীপাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সারওয়ার আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তার বাবা মরহুম গোলাম কুদ্দুস মোল্লা বানারীপাড়া ইউনিয়ন বোর্ডের দীর্ঘকাল প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা ১৯ বছর বানারীপাড়া পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। এখন তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দলমত নির্বিশেষে বানারীপাড়ার মানুষ এ পরিবারের কাছ থেকে সর্বদা সহযোগিতা পেয়ে আসছেন। ফলে আগামী নির্বাচনে এ আসনের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ গোলাম সারওয়ারকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা এবং উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ সিকদার অভিন্ন সুরে বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে অনেক প্রার্থী থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন তাকে বিজয়ী হতে বেগ পেতে হবে না। উভয় নেতা স্বীকার করেন, দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।

এ আসনে বিএনপির একাধিক নেতা আগামী নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হলেন- ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু, অ্যাডভোকেট শাহ খসরুজ্জামান এবং সাংবাদিক নেতা ইলিয়াস খান। সাবেক বিএনপি নেতা সৈয়দ শহীদুল হক জামাল এ আসনে আবারও বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন এমন জোর আলোচনা আছে বানারীপাড়া-উজিরপুরে। তবে ২০০৮ সালে সৈয়দ শহীদুল হক জামাল দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র নির্বাচন করায় বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। ওয়ান ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থিদের দলে ভেড়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সৈয়দ শহীদুল হক জামাল বলেন, ‘আমি কখনই সংস্কারপন্থি ছিলাম না। স্বতন্ত্র নির্বাচন করায় আমাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। তারপর আর দলে ফিরে যাইনি।’ শহীদুল হক জামাল জানান, তিনি এখন কোনো দলে নেই। তবে রাজনীতিও করবেন, নির্বাচনেও অংশ নেবেন। আগামী নির্বাচনে রাজনীতিতে বড় চমক দেখাবেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বানারীপাড়া উপজেলা শাখার সভাপতি এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু বলেন, দল চাইলে আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন। উজিরপুর-বানারীপাড়ায় দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গে সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু বলেন, বিএনপির মতো বড় দলে কমবেশি বিভেদ থাকতে পারে। দলের অনেকেই প্রার্থী হতে চাইছেন। সে কারণে কিছুটা দ্বন্দ্ব-বিভেদ থাকলেও নির্বাচনের সময় সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ তিন যুগ মানুষের সেবা করছি। উজিরপুর-বানারীপাড়ায় শিক্ষা প্রসারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যা করেছি তা আর কেউ করতে পারেননি। দুর্দিনে দলকে সুসংগঠিত করেছি। সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু বলেন, আমি বিশ্বাস করি দল অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবে এবং বানারীপাড়া-উজিরপুরের মানুষ ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।

বিএনপির প্রার্থী প্রসঙ্গে উজিরপুর উপজেলা সভাপতি মাজেদ তালুকদার এবং বানারীপাড়ার সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ মৃধা সুস্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা সরফুদ্দিন সান্টুকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।’ দলীয় বিবাদ প্রসঙ্গে দুই নেতা বলেন, বড় দলে ছোটখাটো সমস্যা থাকতেই পারে। নির্বাচনে তার কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

এ ছাড়াও মহাজোটের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রমৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জাসদ নেতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন জোট ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, ১৪ দল জোটবদ্ধ নির্বাচন না করলে এ আসনে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হবেন।

এ ছাড়া বরিশাল-২ আসনে জাসদের (আম্বিয়া-প্রধান) কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এম আনিচুজ্জামান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাওলানা নেছারউদ্দিন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আভাস দিয়েছেন।

সমকাল

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment