“মামলা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা” যাদুকাটা অবৈধ ড্রেজার-বোমা মেশিন আর কোয়ারীকরে বালু পাথর উত্তোলন

“মামলা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা” যাদুকাটা অবৈধ ড্রেজার-বোমা মেশিন আর কোয়ারীকরে বালু পাথর উত্তোলণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান, মামলা-হামল মানববন্ধন, ভিক্ষোব মিছিল আর প্রতিবাদ সমাবেশ করেও ঠেকানো যাচ্ছে না সীমান্তঘেরা একমাত্র পর্যটক স্পট রূপের লাবল্যর নদী হিসেবে খ্যাত যাদুকাটা থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বোমা-ড্রেজার ও শেইভ মেশিন দিয়ে এবং নদীর তীর কটে ও তীর সংলগ্ন সরকারি আবাদি জমিতে ৪০ থেকে ৫০ ফুটের মত বড়বড় র্গত করে মরনফাঁদ তৈরিকরে কোয়ারী করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় রাতের আঁধারে ও দিনে দুপুরে চলছে বালি ও পাথর উত্তোলনের রয়েছে অভ্যহত। যার ফলে ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রামসহ দুই উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধি গ্রামের হাজার হাজার পরিবারের। এ যেন দেখার কেউ নেই? এলাকার লোক মুখে প্রবাদ বাখ্যেও ন্যায় একটি কথাই প্রচলিত আছে, যাদুকাটা নদীতে আইন আছে প্রয়োগ নাই। অভিযোগ উঠেছে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাঁজ এসআই সাইদুর রহমানের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে ড্রেজার-বোম মেশিন আর নদীর পাড় কেেট কোয়ারী করে বালি পাথর উত্তোলণের মত পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞের কাজ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওইসব অবৈধ ড্রেজা-বোমা ও শেইভ মেশিন আর বালি ও পাথর কোয়ারীর মালিকদের কাছ থেকে প্রতিদিনকার আর সাপ্তাহিক মাসোয়ারায় হাতিয়ে নিচ্ছেন রোজ লক্ষাধিক টাকা। সম্প্রতি ২১ র্মাচ বুধবার দুপুরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলণরত ড্রেজার মেশিনের গর্তে পড়ে ছত্রিশ গ্রামের আল আমিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম(৭) বছরের এক শিশুর মিত্যু হয়েছে। এবং ২৬ র্মাচ রাতে ্রাদুকাটা নদীর গাঘড়া চিনেরটেক এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলণের সময় গাঘড়া, পাঠানপাড়া গ্রামসহ আরও কয়েকটি গ্রামের লোকজন নদী থেকে হামলা চালিয়ে একটি ড্রেজার ভাঙ্গচুর করে ও একটি ড্রেজার ধরে নিয়ে আসলে ্ওই খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইদুর রহমান ঘটনার স্থলে গিয়ে আটককৃত ড্রেজার জব্দ না করে উল্টু ড্রেজার মালিকদের ওই ড্রেজার দিয়ে দেয়। এবং ড্রেজার মালিকদের পক্ষ হয়ে ওই এসআই ওই গ্রামবাসীর উপর বিচার শালীশে বসে তারই বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পে। এতেও থেমে নেই বালি পাথর খেকোরা। এ দিকে যাদুকাটা নদীরে মাহার নদীর মুখ মানিগাঁও শিমুল বাগান এলাকায় ও তাহিরপুর উপজেলার সোহাল-ছড়া ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারছড়-ছত্রিশ এলাকায় ড্রেজার ও বোম মেশিন দিয়ে প্রতিদিন সন্ধারাত থেকে সকাল ৮ র্পযন্ত প্রায় শতাধিক বোমা মেশিন ও ড্রেজার মেশিনে বালি পাথর উত্তোলণ। যারফলে ওইসব বোম ও ড্রেজার মেশিনের বিকট শব্দে নদীর দু’তীরের প্রায় অর্ধশত গ্রামের লোকজনের রাতে ঘুমানোও কষ্ঠ দায়ক হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়! ওইসব গ্রামের এইসএসসি পরির্ক্ষাথীসহ হাজার হাজার স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের রাতের তাদের লেখা-পড়া বন্ধের উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করতে চাইলেই চলে ওইসব প্রভাবশালী বালু-পাথর খেকো চক্র আর তাদের গটফাদার এসআই সাইদুরের পক্ষ থেকে মিথ্যা মামলা-হামল আর বিভিন্ন মাদক মামলায় ফাঁসানো হুমকি ধামকি এমন অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীর। সরেজমিনে নদীর দুইপাড় ঘুরে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে অভিযোগ সূত্র জানাযায়, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের ও বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির এসআই সাইদুর রহমানের ছত্রছায়ায় পরিবেশের কোন তোয়াক্কা না করেই নদীর আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দিনে অবৈধ শেইভ ও অর্ধশত ড্রেজার মেশিন ও বোমা মেশিন দিয়ে এবং শতশত পাথর কোয়ারী করে শ্রমিক লাগিয়ে বালু ও পাথর কেখো সিন্ডিকেট গিলে খাচ্ছে নদীর পাড় সহ পাড় সংলগ্ন আবাদি জমি। ঘটাচ্ছে পরিবেশের মারার্তক বির্পযয়। জানাযায়, অভিযোগ সূত্রে জনাযায়,এ বিষয়ে বিগত ১৭ জানোয়ারী বুধবার ঘাগটিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম যাদুকাট নদীর তীরকেঁেট ও অবৈধভাবে ড্রেজার, শেইভ মেশিন আর কোয়ারী করে বালু-পাথর উত্তোলণ ও বিক্রি করার বন্ধ করেনে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। শহিদুল ইসলাম তার লিখিত অভিযোগে উল্লেক করেন, তাহিরপুর থানার অধিনস্থ বাদাঘাট পুলিশর ইনর্চাজ এসআই সাইদুর রহমান ফাঁড়িতে যোগদানের পর থেকেই চলছে অকেটা খোলা মেলা ভাবেই ওই রকম পরিবেশ ধ্বংস যজ্ঞরে কাজ। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, ওইসব বালু ও পাথর খেকো নদীর তীর কাঁটার মালিক, ড্রেজার-বোম ও শেইভ মেশিনের মালিক ও কোয়ারীর মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলণে মৌকিখ অনুমতি দেন এসআই সাইদুর রহমান। শুধু তাই নয়! এ যেন যাদুকাটা নদীর মুকুট বিহিন স¤্রাটের ন্যায় এসআই সাইদুর রহমান নিজেস্ব সৈনিক(র্সোস) নিয়োগ করে নদীর বিভিন্ন চেক্টরে শুরু করেছ চাঁদাবাজির মহউৎসব। এবং গত ৯ র্মাচ শুক্রবার নদীতে রাতের আঁধারে শতাধিক বোম ও অর্ধশতাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলণ করা বন্ধের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ জেলা বারকী শ্রমিক সংঘ(যার রেজিং নং-২৩৫৫) যাদুকাটা নদীর তীরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এবং গত ২৮ ফ্রেবুয়ারী তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা র্পুনেন্দু দেব ভ্রম্যমান আদালতে পরিচালনা করে যাদুকাটা ও মাহারাম নদীর মুখ শিমুল বাগন এলাকায় ১৫টি অবৈধ বোমা মেশিন জব্দ করে জ্বালিয়ে দেওয়ার পরও থেমে নেই যাদুকাটা নতীতে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলণের তান্ডব। এদিকে গত বছর যাদুকাটা নদীতে শেইভ মেশিন দিয়ে ও পাড় কেটে বালি ও পাথর বিক্রির দায়ে বালু ও পাথরব্যবসায়ীসহ এলাকার ২০ জন কে আসামী করে এমনকি বিগত ৩০/০৩/ ২০১৭ সালে তাহিরপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আশীষ কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে ১৯৭৪ ইং সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১) এর ঙ ধারায় তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০।যার কারনে যাদুকাট নদীতে রক্ষক ভক্ষক হওয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ওই বালু ও পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্রটি মনের খুসিতে যে যার মত উত্তোলণ করছে বালু আর পাথর।এবং বিগত কয়েক বছর যাবৎ তাহিরপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাদুকাটা নদীর তীর কেটে ও ড্রেজার মেশিন ও শেইভ মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা দন্ডনিয় অপরাধ বলে বন্ধ কনার জন্য নদীতে বেশ কয়েক বার মাইকিং করানো হয়। জানাযায়, প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয বিেষ্টত স্থান উপজেলার রড়দল উত্তর ইউনিয়ন ও বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের মধ্যর্বতী যাদুকাটা ও মাহারাম নদীর মুখ সংলগ্ন এশিয়ার বৃহত্তম একমাত্র র্পযটন স্পট জায়নাল অবেদীর শিমুল বাগনের উত্তর-র্পব পাশে ওইএলাকার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নোয়াজ আলী মেম্ভার ও ইউনিয়ন শ্রমিক দীগের সভাপতি তারা মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী বালু-পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্রটি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এস আই সাইদুরকে সপ্তাহে ৩ হাজার টাকা মৌখিক চুক্তিতে প্রায় অর্ধশতাধিক বোমা ও ড্রেজার-বোম মেশিন লাগিয়ে রাতের আঁধারে হেজাক লাইট ও র্চাজার লাইট জ্বালিয়ে উত্তোলণ করছে বালু পাথর। ওই সব বোম ও ড্রেজার মালিকদের কাছ থেকে সপ্তাহে ওই এসআই সাইদুর হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। শুধু তাই নায়! অপর দিকে বাদাঘাট ইউনিয়ের ঘাগটিয়া আর্দশ গ্রাম সংলগ্ন বড়টেক ও টেকের গ্রাও এলাকায় যাদুকাটা নদীরতীরের মালিকানা দাবি করে নদীর তীর কেটে ও তীর সংলগ্ন সরকারি খাস জমিতে শতশত ফুট র্গত করে হাজা হাজার শ্রমিক লাগিয়ে প্রায় শতাধিক বালু ও পাথর কোয়ারী করে বালু আর পাথর উত্তোলণ করছে ওই এলাকার লোকজন। আর ওইসব কোয়ারী থেকে এক ছিজন(৩ মাসের জন্য) কোয়ারীতে পানি আসার আগ র্পযন্ত) প্রতি কোয়ারীতে ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাদের মৌখিক অনুমতি দেয় এসআই সাইদুর। আর অবৈধ কোয়ারী করে বালি পাথর উত্তোলণের সাথে যুক্ত রয়েছেন ঘাগটিয়া গ্রামের ডাক্তার তোয়াজ আলী, আব্দুল আহাদ, কামাল হোসেন, তজবীর আলী, আজিনুর, নুরুজ আলী, হাবিবুর রহমান, হাবিবুল ইসলাস, মাঈন উদ্দিন, আলী চাঁদ, দীন ইসলাম, লালু মিয়া, নিহার মিয়া, নুরুজ আলী, লাক মিয়া, টিটু মিয়া, জলসাদ, আলী আজগর ও উজ্জল মিয়া ও সোহালা গ্রামের বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাখাব উদ্দিন, ননাই গ্রামের রহিছ মেম্ভারসহ প্রায় শতাধিক কোয়ারী মালিক। আর ওইসব পাথর কোয়ারীর মালিকের কাছ থেকে এসআই সাইদুরের নিয়োগ প্রপ্ত র্সোসদের মাধ্যমে প্রায় শতাধিক বালু-পাথর কোয়ারীর মালিকদেও কাছ থেকে ছিজনে হাতিয়ে নিচ্ছে ২০ লক্ষ টাকা। যাদুকাটা নদীর তীরে শেইভ মেশিন দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলণ করা প্রশাসনিকভাবে দন্ডনীয় অপরাধ ও নিষেদাজ্ঞা থাকলেও এসআই সাইদুর রহমান প্রতিদিন সকালে পুলিশের একটি টিম নিয়ে নিজে দাড়িয়ে থেকে ওইসব প্রভাবশালী বালু-পাথর সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে বালু- বালু-পাথর উত্তোলণের জন্য গরকাটি গ্রামের র্পূব পাশে নদীর তীওে শেইভ দিয়ে বালু পাথর উত্তোলণের জন্য সরদার ও শেইভ মালিকদের অনুমতি দেন। শুধু তাই নয়! এর জন্য যাদুকাটা নদীর তীরে শেইভ মেশিন দিয়ে বালু-সিঙ্গের ও ভোলডার পাথর উত্তোলণকারী শ্রমিকদের কাছ থেকে এস আই সাইদুরের নিযোগ প্রাপ্ত গরকাটি গ্রামের কিরণ রায়সহ ১০/১২ জনের একটি চাঁদাবাঁজ সিন্ডিকেট র্সোস প্রতি শেইভ মেশিনের ১ হাজার টাকা করে প্রতিদিন গড়ে অর্ধলক্ষ টাকারও অধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই এস আই সাইদুর। অপরদিকে যাদুকাটা নদীর গাঘড়া- কালাইকাপুর গাঘড়া কুর এলাকায় বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ছোট ভাই বাবুল মিয়া, ও গাঘড়া গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া ও পাঠানপাড়া-মিয়ারছড় খেয়াঘাট সংলগ্ন চিনেরটেক ও সোহালা-ছত্রিশ ও ছাড়া গ্রামসংলগ্ন নামক স্থানে প্রতি রাতেই এসআই সাইদুরের ছত্রছায়ায় চলছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি ড্রোজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলণ করছে । আর এর সাথে যুক্ত রয়েছেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারছড় গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান তার মিয়ার ছোট ভাই শামীম আহমদ সেন্টু, তার মিয়ার ছেলে ইকরাম হোসেন, তার ভাতিজা সুমন আহমদ, মেয়ের জামাই তাহিরপুর উপজেলার ননাই গ্রামের মৃত সুরুজ হাজীর ছেলে কাউছার আহমদ, সোহালা গ্রামের হাজী আব্দুল হকের ছেলে গণী মিয়া, তারই ছোট ভাই ওমর গনী, বাদাঘাট ইউনিয়নের র্বতমান চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন, চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইসলাম উদ্দিন, তার ভাতীজা মোব্বাশির হোসেনসহ দু’উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ড্রেজার মালিক। আর এসআই সাইদুর প্রতি রাতে প্রতি ড্রেজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে ২০/২৫টি ড্রেজার মেশিন মালিকের কাছ থেকে প্রতি রাতেই হাতিয়ে নিচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। নামপ্রকাশেঅনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, র্বষা মৌসুমের শুরু থেকেই সীমান্তের ওপাড়ে ভারতের খাসিয়া মেঘালা পাহাড় থেকে নেমে আসা সীমান্ত নদী যাদুকাটার তীরকেঁটে ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও শেইভ মেশিন দিয়ে দিনে ও রাতের আধাঁরে চলছে বালু উত্তোলনের মহউৎসব। যার কারনে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে দুই উপজেলা তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভারপুরের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। জানাযায়, প্রতি বছরেইর্বষা মৌসুমে শুরুতেই ওই এলাকার লোকজন নদীর পাড়ের খাসজমির মালিকানা দাবিকরে নদীর তীরকেটে বালু বিক্রি করছে যে যার মত কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। তারা নদীর পাড়ের জমির মালিকানা দাবি করে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলণ করে বিক্রি করছে দের্ধাছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে ওপেক্ষাকরে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধভাবে নদীর তীরকেটে ওশেইভ মেশিন ও ড্রেজার আর বোম মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করার কারণে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বালি-পাথর মহাল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ফাজিলপুর কোয়ারী কেন্দ্রিক বাদাঘাট ইউনিয়নের পাহাড়ি নদী যাদুকাটার র্দীঘ ২৩ কিলোমিটার এলাকার ফাজিলপুর থেকে লাউড়েরগড় অংশের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড়, ছড়ারপাড়, ডালারপাড়, গাঘটিয়ার বড়টেক বিন্নাকুলি, কাইলকাপুর. মোদেরগাঁও, গরকাটি, গাঘড়া, পাঠনপাড়া, কুনাটছড়া ও সোহালা গ্রামসহ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারছড়, ছত্রিশ, আমড়িয়া, সিরাজপুর, বাগগাঁও মনবেঘসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাম এলাকায় ইতি মধ্যেই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কয়েক বছর যাবৎ যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু বিক্রি করার কারণে অথিতের ছেয়ে যাদুকাট নদীর প্রশস্ত হয়েছে প্রায় ৫ গুনের ছেয়েও বেশি । যার ফলে নদীর পাড়ের সরকারি (স্কুল)শিক্ষা প্রতিষ্টান, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, আবাদি জমি রাস্তা-ঘাট সহ ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিশ্ব হয়ে পড়ছে নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আর প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু ব্যবসায়ীরা ও নদীর পাড়ের দাবিদার জমির মালিকরা হচ্ছে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ” সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এক সময়ের প্রাকৃতিক সম্পদ বালু আর পাথবে ভরপুর ছিল সীমান্ত নদী যাদুকাটা। যার ফলেও থামছে না যাদুকাটা নদীতে শেইভ মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলণের কাজ। স্থানীয় একাদিক বালু ব্যবসায়ী ও নৌকার সর্দার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানাযায়, ঘাগটিয়া গ্রামের সাময়ে এক সময়ে বিশাল টেকছিল যার না বড় টেক। তা কয়েক বছর নদীর পাড়কেটে বিক্রি করার কারনে এই বড়টেক তাহিরপুরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। এখন গুচ্ছ গ্রামসহ গাঘটিয়া গ্রামকে নদীর খরাল গ্রাসে কেড়ে কাচ্ছে। এব্যপারে গাঘটিয়া গ্রামের মজিবুর রহমান(৪০) জানান, বিএনপি সরকারের আমলে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমার তাহিরপুর উপজেলার শতাধিক ঘরহারা ও দরিদ্র পরিবারের লোকদের জন্য গোচ্ছা গ্রাম নামে শতাধিক ঘর ও একটি পুকুরসহ আশ্রমের উধবোদন করেছিলেন। কিন্তু নদীর তীর কেটে বালু বিক্রির কারণে র্বতমানে ওই আশ্রমের ১০/১৫ টি ঘর সহ একটি স্কুল একটি মসজিদ পড়েছে নদী ভাঙ্গনের মুখে ও সরকারি পুকুরটি এখন নদী সাথে মিলিত হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালু বিক্রি করলে তাদের কিছুই হয়না আর আমি বিএনপি করিবলে! আমি নদীর পাড়ে না গেলেও আমার উপর বিভিন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে এমন অত্যাচার অভিচার চালিয়ে যাচ্ছে । শুধূু তাই নয়, আমি এর প্রতিবাদ করি বলে নদীর পাড়কাটার মামালার স্বাক্ষীর তারিখে আমি ওই দিন সুনামগঞ্জ না গেলেও স্বাক্ষীদের উপর মিথ্যা হামলায় মিথ্যা মামলা খেয়ে বেশ কিছু দিন হাজত খেটে জামিনে বের হয়ে আইছি কয়েকদিন আগে। এমনকি গত বছর সরকারি পুকুর পাড় এলাকায় আমার জায়গা থেকে নাছির উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন বালু নেওয়ার সময় নিষেদ করলে গাঘটিয়া গ্রামের আমার আতœীয় এক বৃদ্ধার বাম হাতের দুই আঙ্গুল কেটে নেয়। এই নিয়ে বেশ কিছু জাতিয় ও অঞ্চলিক পত্রিকায় খবর প্রাকাশিত হলে সরকারি পুকুর এলাকায় ১৪৪ ধার জারিহয়।
যার কারনে যেমন ক্ষতি হচ্ছে এলাকার পরিবেশ অপর দিকে নদী পাড়ের অর্ধশত গ্রাম ইতিমধ্যে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। নদী ভাঙ্গনে ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিস্বহয়ে কেউ কেউ অন্যের বাড়িতে আবার কে কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে। এব্যপারে অভিযোক্ত তার মিয়া চেয়ারম্যান বলেন, ড্রেজার মেশিন আমরা চালাইনা, চালায় বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির এসআই। আপনি এসআইকে জিজ্ঞাস করুন। এ ব্যপারে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এস আই সাইদুর রহমান তার উপর অভিযোগের বিষয় অসিকার করে বলেন, আমি তাহিরপুর নতুন এসেছি। বোম- ড্রেজার-শেইভ মেশিন ও কোয়ারীর মালিকদের কাছ থেকে আমিকোন টাকা নেয় নাই। বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই সাইদুর তার উপর আনা সকল অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্য ও অসিকার করে আর বলেন, নদীতে ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে রাতে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানিনা। রাতের বেলায় নদীতে অনেক সময় নৌকা চলাচল করছে। যদি ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলণ করে অপনি সেখানে আইসা আমাকে ফোন দিয়েন আমি আইসা যদি পাই তাহেলে এর সাথে সম্পিক্তদের বিরোদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা নেব।এ ব্যপারে তাহিরপুর উপজেলা র্নিবাহী র্কমর্কতা র্পুনেন্দু দেবের সরকারি মোবাইল ফোন-০১৭৩৬০১১৪৬৬ নাম্বাওে বারবার কল দিলেও তিনি কল রিচিভ করেননি। এব্যপারে তাহিরপুর থানা ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানিনা। এস আই সাইদুর যদি এ গুলোর সাথে জড়িত থাকে তা হলে এ বিষয়ে তদন্ত র্পূবক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment