রাংগাবালীর বড়বাইশদিয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক সহ প্রায় ১৪টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ, যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম নৌকা

রাংগাবালীর বড়বাইশদিয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক সহ প্রায় ১৪টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ, যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম নৌকা
মোয়জ্জেম হোসেন, পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১৫ হাজার মানুষকে প্রতিদিন পার হতে নৌকায়। ৮ কিলো মিটারের মধ্যে পারাপারে কোন সেতু না থাকায় তিন তক্তার নৌকাই যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম। আর এনিয়ে তাদের ভোগান্তিরও শেষ নেই।
জানা যায়, এক সময়ের প্রমত্তা দারছিরা নদীতে প্রায় ৬ কিলোমিটার ব্যবধানে মোল্লার চর ও  মধুখালীতে ক্লোজার করে আটকে দেয় ২০১০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে মরা নদীতে রুপান্তরিত হয়েছে দারছিরা। এখন এর প্রশস্ততা ৩০০ মিটার আর গভীরতা ৮/৯ ফুট হবে বলে জানান স্থানীয় জেলেরা। ৬ কিলোমিটার ব্যবধানে ক্লোজার নির্মিত হলেও মাঝখানে পারাপারে নেই কোন ব্যবস্থা। এর উভয় পাড়ে রয়েছে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা এবং পশ্চিম পারে কাটাখালী এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাববুনিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ কয়েকটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ দু’পারের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ পারাপার হতে হয় নৌকায়।
চরগঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমা বেগম জানান, দুই ক্লোজারের মাঝামাঝি কাটাখালী খাল সংলগ্ন স্থানে একটি সেতু র্নিমিত হলে শিক্ষার্থীসহ দু’পাড়ের অন্তত কয়েক হাজার লোক ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হাসানাত আবদুল্লাহ জানান, খেয়া নৌকার উপর ভরসা করে মানুষ আসা যাওয়া করে। মাঝামাঝি জায়গায় অন্তত একটি ক্লোজার হলে ছাত্র-ছাত্রী সহ সব ধরনের মানুষের পারাপারে আর কোন অসুবিধা থাকবেনা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment