পদ্মার শাখা নদীতে ডুবে সলিল সমাধি কেন আমি ঢাকায় গেলাম মেয়েদের জন্য বৈশাখের জামা আনতে?

পদ্মার শাখা নদীতে ডুবে সলিল সমাধি কেন আমি ঢাকায় গেলাম মেয়েদের জন্য বৈশাখের জামা আনতে?
মোঃ মানিক মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (মুন্সীগঞ্জ):
নববর্ষে সকলের জন্য হাসিখুশির হলেও বিষাদে ভরা ছিল লৌহজংয়ের পদ্মার শাখা নদীতে ডুবে মরা ফিহা-নুহার মা মিতা বেগমের। বাক রুদ্ধ ছিলেন তিনি। শুধু বোবা কান্নাই জেনো তার সম্বল ছিল। বৈশাখে মেয়েদের জন্য তৈরী করা পোশাক বিছানায় নিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিনে তিনি। পোশাক হাতে মেয়েদের কথা বার বার বলছিলেন তিনি। শনিবার ফিহা-নুহাদের বাড়ি গিয়ে এমনটিই দেখা যায়।
মিতা বেগম বোবা কান্না কাঁদছিলেন। আর মেয়েদের পোশাক হাতে বির বির করে বলছিলেন, কেন আমি ঢাকায় গেলাম মেয়েদের জন্য বৈশাখের জামা আনতে। জামাতো নিয়ে আসলাম। আমার ফিহা-নুহা কউ ? কে পড়বে এই জামা? আমি ওদের বাবাকে কি জবাব দেবো। এই জামা আমার দরকার নাই। তোমরা আমার ফিহা-নুহাকে এনে দাও। ওদের ছাড়া আমি বাঁচবো কি করে?
এমনই কান্নাই উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা অনেক মিডিয়া কর্মী মিতা বেগেমর এই বোবা কান্নায় চোখেন পানি ছেড়েছেন নিজের অজান্তে। মিতা বেগমের শোকে তারাও হয়েছেন শোকাহত। শান্তনা দেবার মত বা কেউ খুছে পায়নি। শুধু নিরবে চোখের পানি ছেড়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে লৌহজং উপজেলার বড় নওপাড়া গ্রাম সংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে সলিল সমাধি হয় ফিহা আক্তার (১৩) ও নুহা আক্তার (১১) নামের সাঁতার না জানা দুই বোনের। ফিহা ব্রাহ্মনগাও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ শ্রেনী ও নুহা ওয়েল ফেয়ার কিন্ডার কার্টেনের ৫ শ্রেনীর ছাত্রী। তাদের মা মিতা বেগম এ সময় তাদের জন্য ঢাকা গিয়েছিলেন বৈশাখের নতুন জামা কিনতে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment