উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার বসানো লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া প্রচারণার কাজে এই লাউডস্পিকারগুলো ব্যবহার করতো। খবর বিবিসির।
চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে হতে যাওয়া দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠককে সামনে রেখে দক্ষিণ কোরিয়া এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
সীমান্তজুড়ে উত্তর কোরিয়ার দিকে মুখ করা বহু লাউডস্পিকার বসিয়ে কোরীয় পপ মিউজিক থেকে শুরু করে উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে সংবাদ প্রতিবেদন সম্প্রচার করে আসছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে মোতায়েন সেনা ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা ওই সম্প্রচার শুনতে পেতো।
অপরদিকে সীমান্তের অপর পাশে উত্তর কোরিয়ার অংশেও লাউডস্পিকার বসানো ছিল। সেগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়া ও এর মিত্রদের সমালোচনা করে প্রতিবেদন সম্প্রচার করতো উত্তর কোরিয়া। তবে উত্তর কোরিয়ার লাউডস্পিকারগুলো বন্ধ করেছে কিনা তা জানা যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, খুবই উঁচু আওয়াজে লাউডস্পিকারগুলো প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হতো। সোমবার সকালেই স্পিকারগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।
আসছে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দুই কোরিয়ার নেতাদের মধ্যে এই প্রথম বৈঠক হতে যাচ্ছে। শীর্ষ পর্যায়ের এ বৈঠকে সামনে রেখে ‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সামরিক উত্তেজনা হ্রাস ও শান্তিপূর্ণ বৈঠকের মেজাজ তৈরির উদ্দেশ্যে’ প্রচারণামূলক সম্প্রচার বন্ধ করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত ও পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক এক আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার মধ্যেই দেশটি থেকে এ ঘোষণা আসে যা পর্যবেক্ষকদের বিস্মিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে বৈঠকের পর কিমের জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
