২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১-১২ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন, আলোচনায় ঝিনাইদহের সাগর হোসেন সোহাগ

২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১-১২ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন, আলোচনায় ঝিনাইদহের সাগর হোসেন সোহাগ

রিয়াজ উদ্দীন (ঝিনাইদহ) জেলা প্রতিনিধিঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলনে খুলনা অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন ঝিনাইহের সাগর হোসেন সোহাগ। আগামী ২৯ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১-১২ই মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে ছাত্রলীগের। এরই মধ্যে সংগঠনের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন,এ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা।
সম্মেলনে সংগঠনটির শীর্ষ পদগুলো পেতে শুরু হয়েছে পদ প্রত্যাশীদের চেষ্টা তদবির। নেতৃত্বে আসতে দুঃসময়ে সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রচারণা সামনে আনছেন তারা।ঐতিহ্য অনুযায়ী, ছাত্রলীগের সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনে কয়েকটি বিষয় দেখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- পারিবারিক পরিচিতি,নিয়মিত ছাত্রত্ব,সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং এলাকা।ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এসএম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।ইতি মধ্যে ২৯তম সম্মেলনে খুলনা অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন- গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-সম্পাদক সাগর হোসেন সোহাগ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়- অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার হয়ে আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে দিনরাত আওয়ামীলীগকে নলডাঙ্গা ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজস্বেবক জনাব মোঃ মো: দোস্তর আলী বিশ্বাস। তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি।চার সন্তানের মধ্যে সাগর হোসেন সোহাগ সবার ছোট।ছোট বড় দুই ভাই একটা সময় কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। বড় ভাই সরোয়ার রহমান দীর্ঘদিন বিদেশ থেকে এখন দেশে এসে ব্যবসা এবং স্হানীয় যুবলীগের সাথে জড়িত,বাজার কমিটির সেক্রেটারি এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছেন।মেঝো ভাই এখনও বিদেশ থাকেন। বোন বিয়ে হয়ে গেছে মাগুরা জেলার মীরপাড়াতে মীরবংশের সাথে ।মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল সম্পর্কে ভাগিনা।একমাত্র চাচা গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিদের একজন। সোহাগ’র  ছাত্ররাজনীতি শুরু মুলত ফুফাতো ভাইয়ের হাত ধরেই। ফুফাতো ভাই রবিউল ইসলাম রবি ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক  সভাপতি,উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক,ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযাদ্ধা প্রজন্মলীগের সাধারন সম্পাদক,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।তিনিও অত্যন্ত কষ্ট করে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন এবং উপজেলায় আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করেছেন। কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্ররাজনীতি করতে করতে সুসম্পর্ক হয় তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর সাথে বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র পরবর্তীতে তার হাত ধরেই তার অনুপ্রেরনায় রাজনীতির উত্থান এবং সৃষ্টিশীল কাজেও আছে সাগর হোসেন সোহাগের পারদর্শীতা।ঝিনাইদহের চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাস্কর এবং ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্ট্রাকচারাল ডিজাইনার এই সাগর হোসেন সোহাগ। প্রত্যেকবারের ন্যায় এবারও খুলনা অন্চল থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে যেকোন একটিতে যদি দেন তাহলে সাগর হোসেন সোহাগের আসার সম্ভাবনা আছে।
সরকারী তালিকাভুক্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও প্রিন্ট মিডিয়া ‘দৈনিক আগামীর সময়’র সাহ্মাৎকারে সাগর হোসেন সোহাগ বলেন,
আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন দেখেছি রবি ভাই কত নির্যাতিত হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন। তখন থেকে রবি ভাইয়ের সাথে সাথে থাকতাম আর রাজনীতি শিখতাম,পরে যখন কলেজে ভর্তি হই তখন তৎকালীন কেসি কলেজ ছাত্রলীগের এজিএস শফিকুল ইসলাম শিমুলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসাবে কাজ করতাম।
আমি ২০০৭ সাল থেকে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসাবে বিরোধীদলে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে সরাসরি মিছিল মিটিং শুরু করি,সাথে সাথে নিজ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাথে কাজকর্ম করতাম পরে ২০০৮ সালে  সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার শুরুর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ার সাথে সাথে আরো সক্রিয়ভাবে রাজনীতি শুরু করি,আমি সামনে আরো বড় কোন দায়িত্ব পেলে নিজের জীবন দিয়ে হলেও চেষ্টা করবো,দায়িত্ব পালন করার জন্য,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে গুরুত্বপুর্ন কোন দ্বায়িত্বদিলে আমি দলের প্রতি এভাবেই কমিটেড থেকে আমি প্রথমে ছাত্রলীগের ভিতরের হাইব্রিড ছাত্রলীগ নামধারী কিছু জামাত-শিবিরের প্রতি জিরো টলারেন্জে কাজ করবো দলের ভিতর থেকে আগাছা নির্মুলই হবে আমার প্রথম কাজ, সৎ নিষ্ঠা দলের প্রতি বিশ্বস্ত এবং নেত্রীর প্রতি সম্পূর্নরুপে আস্থা রেখে দলের জন্য কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment