‘কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল’

‘কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরিদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের হাতে এখন আর কোন ইস্যু নাই।

শনিবার বেলা ১১টায় সংগঠনের ১০ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কার্যালয়ে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সারাদেশের মহানগর ও জেলা প্রতিনিধিদের সাথে জরুরি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এতো দিন তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনকে তীব্রতর করতে রসদ যুগিয়েছে, প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। আর এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদেরকে দিয়ে আবারও আরেকটি আন্দোলন করাতে চাচ্ছে। তাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে সজাগ থাকতে হবে। কোন ষড়যন্ত্রে পা দেয়া যাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সময় গণতন্ত্র ছিল বাক্সবন্দি। সুশাসন ছিল নির্বাসিত। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে এবং জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারণকারী অনেককেই হত্যা করা হয়েছিল। তাই তাদেরকে আর কোন সুযোগ দেয়া যাবে না। দেশের গণতন্ত্র, সুশাসন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার। সে লক্ষ্য নিয়েই মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরসূরিরা শহর, গ্রাম-গঞ্জ ও পাড়া-মহল্লায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করতে হবে।

আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য দেন- জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতীক, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী এমদাদুল হক, নুরুজ্জামান ভূট্টো, লুবনা খানম, আমিনুল ইসলাম রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক কাজল, নাজিম উদ্দিন, শাহিনুল করিম বাবু, রেজাউল ইসলাম রেজা, বেলাল হোসেন, মাহমুদুল হাসান মামুন, ফেনী জেলার সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বিপ্লব, সভাপতি টাঙ্গাইল জেলা, এএইচ এম সুলতান মাহমুদ (প্রিন্স) সভাপতি বগুড়া জেলা, তারিকুর রহমান জুয়েল সভাপতি কুমিল্লা জেলা, বি এম আসাদুজ্জামান সভাপতি ঢাকা জেলা, এনামুল হক কাজল, সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, নুরুন্নবী সাধারণ সম্পাদক কুড়িগ্রাম জেলা, মো. আসাদুর রহমান সভাপতি ঝিনাইদহ জেলা, আল-হেলাল সভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা, এস শামীম আহম্মেদ, সভাপতি হবিগঞ্জ জেলা, মাহমুদুল হাসান রনি, সভাপতি ঢাকা কলেজ, এফ এস আনোয়ার হোসেন, সভাপতি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এস এস সালাউদ্দিন সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা, মোয়াজ্জেম হোসেন, সভাপতি, ফেনী জেলা, সুরভী আকতার, সাধারণ সম্পাদক. সুনামগঞ্জ জেলা, মো. রাশেদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক বগুড়া জেলা, মো. সোলায়মান আলম সাধারণ সম্পাদক, ময়মনসিংহ জেলা, মো. রাজু সভাপতি পঞ্চগর। এছাড়া কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, রাজশাহী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, পাবনা, চাপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, গাজীপুর, নরসিংদী, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয়ক কমিটির মহাসচিব এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেন, অতীতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বর্তমানেও এ ষড়যন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা কোন আন্দোলনে যাবে না। তার নেতৃত্বেই মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা ঐক্যবদ্ধ আছে, থাকবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়োগের বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা প্রবর্তন করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।  তারই কন্যা হিসেবে আপনার কাছে অনুরোধ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জাতির জনকের দেয়া কোটা আপনি বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।

হুমায়ুন কবির বলেন, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরসূরিদের আস্থা আছে, থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার প্রতিষ্ঠায় অতীতেও মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা আপনার পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment