রাউজানে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ও নিম্ন মানের বিস্কুট

রাউজানে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ও নিম্ন মানের বিস্কুট
আমির হামজা রাউজান প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিভিন্নহাটে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল ও নিম্ন মানের বিস্কুট। বিস্কুট গুলো ঠিক কোন পরিবেশে কি ভাবে তৈরি হচ্ছে তা সাধারন মানুষের জানার বিষয় হয়নি। খোলা বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন ও স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর এসব বিস্কুট অসচেতন গ্রাহকেরাই কিনে থাকেন, পাশাপাশি দেখাযায় এসব বিস্কুট জানা শুনা সচেতন ক্রেতাসাধারণও ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে নিম্ন মানের এসব বিস্কুট। বিস্কুট গুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি সুস্বাদু, এই সুস্বাদু বিস্কুট গুলো তৈরি করা হচ্ছে নিম্ন মানের তৈল ব্যবহার করেও।

স্থানীয় এক বিস্কট ক্রেতার মোঃ এহাসুলন সাথে কথা বলে জানায়ায়, তিনি সত্যি জানেন না এসব সুস্বাদু বিস্কুট কোন পরিবেশে কি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এ বিষয়ে নিশ্চত নয় তিনি। কিন্তু নিম্ন শ্রেনীর গ্রাহকেরা এর ক্রেতা বিধায় অনেকেই খবর রাখেন না। এগুলো কি দিয়ে তৈরী এবং কোথায় হতে আসে এসব বিস্কুট। অারো দেখায়ায় নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ ও বস্তায় ভরে হাট বাজার ও রাস্তার ধারে উম্মুক্ত স্থানে ধুলো-বালিতে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এসব নিম্ন মানের বিস্কুট গুলো।

চিকিৎসক এর সাথে কথা বলে জানায়ায়, যারা এসব নিম্ন মানের বিস্কুট ক্রয় করছেন তারা অতি লাভের লোভে পড়ে এসব বিস্কুট ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে,  অার এসব বিস্কুট পরিবারের সবাই পান করছেন। তারা বিস্কুটের গুনাগুন যাচাই না করে কমদামে বেশি বিস্কুট পাওয়ায় সাধারন মানুষ এই বিস্কুট কিনতে হুড়াহুড়ি হয়ে পড়েছে। তাতে করে এলাকার সাধারন মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন দিন দিন। এসব বিস্কুট স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর জানেন না এলাকার অধিকাংশ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঊনসত্তর পাড়া, গৌরীশংঙ্কর হাটে বড় বাজারটি মধ্যও সোমবার ও শুক্রবার দুই দিন ব্যাপি চলে এসব বিস্কুটের দোকানে ক্রয় বিক্রয়। তা ছাড়া বিভিন্ন দোকানে রয়েছে এসব নিম্ন মানের বিস্কুট। অারো দেখাযায় রাউজান বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে চলছে বিস্কুট বিক্রয়ের উৎসব। বিভিন্ন হাট বাজার চাড়াও ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ীতে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে সুস্বাদু লোভ দেখানো বিস্কুট।

তবে যে বিষয়ের উপর নজর রাখা হয়েছিল, বিস্কুট গুলো ঠিক কবে উৎপাদন করা হয়েছে এবং মেয়াদ কবে শেষ হবে তার কিছুই গায়ে উল্লেখ নেই। আর বিএসটিআই’র অনুমদিত কোন শিল মোহর নেই।

এ সব বিস্কুট কোন বেকারী কোথায় থেকে আসে বিক্রেতা কাছে জানতে চাইলে, কয়েকজন বিক্রেতা জানান। চট্টগ্রাম শহর থেকে ট্রাক ভর্তি করে টোস্ট, চিনি টোস্ট, ড্রাই কেক, পাইন্ড বিস্কুট, বেলা বিস্কুট, সুপার বিস্কুট, বাদামী মিস্টি বিস্কুট, সলটেজ বিস্কুট, ছোট ছেলেদের বিস্কটুসহ বড় বড় পলিথিনের ব্যাগভর্তি আসে বলে জানান কয়েকজন বিস্কুট বিক্রেতা। এড়া
অনুমোদন ছাড়া খাবার দ্রব্য কি ভাবে এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রকাশ্যে বিক্রয় হয় সেই বিষয়ে তারা অবগত নয়। বিভিন্ন রাস্তায় এবং দোকানের পাশে এ সব বিস্কুট অহরহ বিক্রি হতে দেখা যায়। বিভিন্ন রাসায়নিক দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেও তৈরি হয় এ সব ভেজাল নিম্নমানের বিস্কুট, যা জনস্বাস্থ্যর জন্য মারাত্মক হুমকি মুখে।

এ বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হোসেন (রেজা) জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে পরে নাই এবং জানা নেই, তবে দ্রুত তদন্ত করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। অামরা চাই রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্যসম্মত সুন্দর পরিবেশ। এখানে খারাপ কিছু করে কোন ব্যবসায়ী পারপাবেনা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment