এসএসসি ও দাখিলে এবার চাঁদপুর জেলার গড় পাসের হারে সারাদেশ ও কুমিল্লা বোর্ডকেও ছাড়িয়েছে

এসএসসি ও দাখিলে এবার চাঁদপুর জেলার গড় পাসের হারে সারাদেশ ও কুমিল্লা বোর্ডকেও ছাড়িয়েছে

আবু নছর,চাঁদপুর প্রতিনিধি:
বেশ কয়েক বছর পর এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় চাঁদপুর জেলায় ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করেছে। গত কয়েক বছর গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে এ জেলার ফলাফল অবনতির দিকে গেলেও এবার তা কাটিয়ে উঠেছে। শুধু ভালো ফলাফলই নয়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডতো বটেই, সারাদেশের গড় পাসের হারের চেয়েও চাঁদপুর জেলার পাসের হার এবার অনেক বেশি।

গতকাল প্রকাশিত ফলাফলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে চাঁদপুর জেলার এমন অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে বরাবরের মতো এবারো এসএসসির এ জেলার সার্বিক ফলাফল বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।

গতকাল ৬ মে রোববার সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এসএসসির ফলাফলে দেখা গেছে যে, চাঁদপুর জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৭ হাজার ৮শ’ ৩২ হন। এর মধ্যে পাস করেছে ২৪ হাজার ৭৫ জন। পাসের হার ৮৫.৫০ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২১ জন। আর দাখিলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৬ হাজার ৯শ’ ৫৪ জন। মোট পাস করেছে ৫ হাজার ৭শ’ ৫২ জন। পাসের হার ৮২.৭১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৫ জন। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে যে, এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার ৮০.৪০ ভাগ এবং সারাদেশে গড় পাসের হার ৭৯.৪০ ভাগ। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলে সারাদেশে পাসের হার ৭০.৮৯ ভাগ।

এদিকে গত বছর চাঁদপুর জেলায় এসএসসির ফলাফলে অনেকটা বিপর্যয় ঘটেছিলো। সারা জেলায় পাসের হার ছিলো মাত্র ৬৩.৭৫ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো মাত্র ৭শ’ ৩৬ জন। সে তুলনায় এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। গত বছর এ জেলায় দাখিলের ফলাফলও খারাপ ছিলো। দাখিলে মোট পাসের হার ছিলো ৭৯.৩৪ ভাগ। আর জিপিএ-৫ পেয়ে ছিলো মাত্র ৩৯ জন। দাখিলের ফলাফলও এবার অনেক ভালো হয়েছে।

জেলার বিদ্যালয়ভিত্তিক এসএসসির ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে আল-আমিন একাডেমী। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ৫শ’ ৯২ জন পরীক্ষা দিকে পাস করেছে ৫শ’ ৭০ জন। পাসের হার ৯৬.২৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ’ ১৮ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২শ’ ৮০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২শ’ ৭৬ জন। পাসের হার ৯৮.৫৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ’ ২ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২শ’ ৫৭ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩ জন।

এছাড়া গত বছর যেসব বিদ্যালয় থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি এবং পাসের হারও নিম্নগামী ছিলো সে সকল বিদ্যালয় থেকেও অনেকগুলো এবার ভালো ফলাফল করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment